ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

শিল্প-কারখানায় গ্যাস সংযোগে অগ্রাধিকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
শিল্প-কারখানায় গ্যাস সংযোগে অগ্রাধিকার সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানি সচিব। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: গ্যাসের উৎপাদন বাড়ায় শিল্প, সার কারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সংযোগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেন, নতুন শিল্পে সংযোগ ও লোড বৃদ্ধিতে মন্ত্রণালয় আন্তরিক। গ্যাস সংকটের সমাধান হওয়ায় সরকার সিএনজি স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ করতে যাচ্ছে। এটি শুধু ঈদকে কেন্দ্র করে না, স্থায়ীভাবেই করা সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

জ্বালানি সচিব বলেন, আমাদের ২৭৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস রয়েছে।

নতুন করে আরও ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস যোগ হওয়ায় ৩৭৫ ঘনফুট হলো। এতে আমাদের গ্যাসে সক্ষমতা বেড়েছে। একারণে নতুন গ্যাস সংযোগ দিয়ে পুরনো লাইনের লোড বাড়ানো যাবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে গ্যাসের ব্যবহার নিশ্চিতকরণে আমরা নীতিগত ভাবে অগ্রাধিকার দেবো। এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় একটি গাইডলাইন তৈরি করেছি।  

তিনি বলেন, আমরা শিল্প-কারখানা, সার কারখানা, বিদ্যুৎ খাতে গ্যাস দিতে চাই। আবাসিকে এ মূহুর্তে বন্ধ আছে। সিএনজিতেও বন্ধ রাখতে চাই। যেখানে বিকল্প জ্বালানির সংস্থান আছে, সেখানে ডলার খরচ করে গ্যাস দিতে চাচ্ছি না। হিসাব-নিকাশ করে দিতে হবে। এতে যদি আমাদের জ্বালানি চাহিদা আরও বাড়তে থাকে, তাহলে দেখা যাবে, প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করতে পারছি না। ফলে গ্যাসের দাম বেড়ে যায়। এজন্যই আমরা একটু বাছাই করে গ্যাস সংযোগ দিচ্ছি।  

সচিব বলেন, শিল্পে আমরা ঢালাও ভাবে গ্যাস সংযোগ দিচ্ছি। নতুন ও পুরনো লোড বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। আমাদের মূল কথা হলো, শিল্পে সংযোগ দেবো, এর জন্য আর কারও দ্বারস্থ হতে হবে না।  সঠিক নিয়মে আবেদন করলেই গ্যাস সংযোগ পাওয়া যাবে।  

সিএনজিকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে জানিয়ে আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, সিএনজির বিকল্প এলপিজি আছে। তাই, এটিতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। আমার ধারণা, সিএনজি ব্যবসা আর বেশি দিন চলবে না। কারণ, এলপিজি ও অটোগ্যাস এর স্থান দখল করে নিচ্ছে। তাছাড়া, অটোগ্যাস ইঞ্জিনবান্ধব। সিএনজি ইঞ্জিন বান্ধবনয়। এধরনের কোনো ইঞ্জিন তৈরি হয় না। সিএনজি ফিলিং করতে অনেক শক্তির প্রয়োজন হয়। এতে ঝুঁকি থেকে যায়। কিন্তু অটোগ্যাসে শক্তি কম প্রয়োগ করতে হয়। তাই, এর ঝুঁকিও কম।  

ভোক্তারা সিএনজি থেকে অটোগ্যাসে চলে আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমার ধারণা, ভোক্তারা অটোগ্যাসে বেশি স্বাছন্দ্যবোধ করেন। তাই, নতুন যারা সিএনজি স্টেশন দেবে, তারা লাভবান হবে না। এজন্য, তাদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।  

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যদি গ্যাস দিতে হয়, তাহলে সেটা সুখকর নয়। বিদ্যুৎ বিভাগ এখন পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারেনি।  

গ্যাসের অপচয় নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আবাসিক গ্যাসে যে অপচয় হয়, তা আমরা রাতারাতি বন্ধ করতে পারবো না। আমাদের ৪২ লাখ গ্রাহক রয়েছে। গত ১৪ বছরে প্রায় তিন লাখ ডিজিটাল মিটার দিতে পেরেছি। এটা আমাদের ব্যর্থতা। এজন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারি। যাতে, গ্রাহকরা বাজার থেকে মিটার কিনে নিতে পারেন। এতে, কিছুটা হলেও গ্যাস অপচয় রোধ হবে।  

আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ১ আগস্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সিএনজি স্টেশনগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। কারণ, আমরা গ্যাসে সক্ষমতা অর্জন করেছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯ 
জিসিজি/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।