তিনি বলেছেন, আমরা ভারত থেকে বিদ্যুৎ নিচ্ছি, জ্বালানি খাতের সম্ভাবনা দেখছি। আমরা জ্বালানিকে সিকিউরড করছি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সচিবালয়ে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল হামদি বলেন, যেভাবে আমাদের সম্ভাবনার জায়গা তৈরি হচ্ছে, সারাবিশ্বে এনার্জি ট্রানজিশন হচ্ছে, সেই ট্রানজিশনের কারণে আমরা কোন জায়গায় আছি। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্র বাছাই করে নিয়েছি, আমরা কয়লা, লিকুইড ফুয়েল, এলএনজি, নিজেদের ন্যাচারাল গ্যাস নিয়েছি। জ্বালানি হিসেবে রিনিউয়্যাবল এনার্জিকেও আমরা সঙ্গে নিয়েছি।
নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী জ্বালানির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশা করছি, জ্বালানি ক্ষেত্রে আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে একটা ভালো জায়গায় হবে। জ্বালানি ক্ষেত্রে সাশ্রয়ীটা সবচেয়ে বড় জায়গা তৈরি করছে। পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো আমরা নিচ্ছি এবং আরও এফিশিয়েন্টলি কীভাবে গ্যাস ব্যবহার করতে পারি তা দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গ্যাসে যে যানবাহন চলে আমরা দেখেছি সেটার এফিশিয়েন্সি মাত্র ১৭ থেকে ২১ শতাংশ। সেই গ্যাস দিয়ে যদি বিদ্যুৎ উৎপাদন করি, সেই বিদ্যুৎ দিয়ে যানবাহন চালাই সেটার এফিশিয়েন্সি ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ। এখানেও কিন্তু ভবিষ্যতে একটা ট্রানজিশন হবে হয়তো।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, বিদ্যুৎচালিত যানবাহনগুলোকে আরও সহজতর করা যায় কিনা। এগুলো অনেক কিছু এক্সপেরিমেন্ট চলছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন পরিবেশকে সঙ্গে রেখে সবকিছু করতে হবে। সুতরাং আমাদের কোনো নতুন টেকনোলজি থাকি সেটা যদি পরিবেশকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করা যায় তাহলেই কেবল আমরা কয়লা উত্তোলনে যাবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
জিসিজি/এএটি