এর আগে, প্রথম ইউনিটে টারবাইন হলের ভিত্তি স্ল্যাবের নির্মাণকাজ শেষ হয় চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে নিয়োজিত রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন-রসাটমের জনসংযোগ শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রূপপুর এনপিপি নির্মাণ প্রকল্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট সের্গেই লাসতোচকিন জানান, এ প্রকল্পে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। টারবাইন হলের দেয়াল নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
টারবাইন হলে স্থাপিত হবে টারবাইন ও বাষ্প জেনারেটর। রিয়্যাক্টর কোরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কুল্যান্ট (শীতলকারী পানি বা গ্যাস) রিয়্যাক্টরে উৎপন্ন তাপ অপসারণ করে বাষ্প জেনারেটরে নিয়ে আসে। এ তাপশক্তি বাষ্প জেনারেটরে বাষ্প উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয়। বাষ্পের যান্ত্রিক শক্তি টারবাইন জেনারেটরে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এ বিদ্যুৎ বৈদ্যুতিক লাইনের সাহায্যে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যায়।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দু’টি ইউনিট নির্মাণাধীন। প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হবে একটি করে ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টর। সর্বাধিক নিরাপদ এ রিয়্যাক্টরে সক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও থাকবে। রূপপুর প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ী এগিয়ে চলছে। প্রথম ইউনিটটি ২০২৩ ও দ্বিতীয়টি ২০২৪ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রূপপুর প্রকল্প নির্মাণের প্রতিটি ধাপ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা-আইএইএ ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ-বায়েরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এসকে/একে