তিনি বলেন, আমরা কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে বিদ্যুৎ আমদানি করছি। এমন সময় আসবে রপ্তানি করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এম এ মান্নান বলেন, ভারতের ঝাড়খণ্ড থেকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ আমদানিতে যৌথ সঞ্চালন লাইন করবে বাংলাদেশ-ভারত। সরকার ভারত থেকে আমদানি করে বিদ্যুৎ দেশের কৃষিজ অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলসহ রাজধানী ঢাকার বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাবে।
‘ভারতের ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে মনাকষা সীমান্ত পর্যন্ত ৪শ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ। । প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে ২২৫ কোটি ৪৯ টাকা। প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের পর ২০২১ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়ন করবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) লিমিটেড। সঞ্চালন লাইন দিয়ে শুধু বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে না, পরবর্তী সময়ে রপ্তানিও করা হবে। ’
প্রকল্পের কিছু আইটেমের বাড়তি দাম প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, প্রকল্পের কিছু কিছু আইটেমের দাম বাড়তি। এটা নিয়ে নানা ধরণের আলোচনা হচ্ছে। আমরা এসব আইটেম কেনার সময় আরও সাবধানী হবো। কোনোভাবেই সরকারি অর্থের অপচয় করা যাবে না। এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এনেছি। প্রকল্পের ব্যয় আরও গভীরভাবে দেখতে হবে। প্রকল্পে কেনাকাটায় সাবধান হতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
এমআইএস/ওএইচ/