বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান খান অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন।
জেলার দাকোপে অবস্থিত কোম্পানিটিকে পশুর ও চুনকুড়ি নদী দখল করে বেজমেন্ট নির্মাণ, পরিবেশ রক্ষায় শতকরা ২৫ ভাগ গাছ প্লান্ট এলাকায় না থাকা ও আগুন নেভানোর জন্য ৩০ ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকলেও সেগুলোর মেয়াদ না থাকায় এ জরিমানা করা হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান খান বাংলানিউজকে বলেন, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের জি-গ্যাস ফ্যাক্টরি অবৈধভাবে পশুর ও চুনকুড়ি নদীর মাঝখানে বেজমেন্ট নির্মাণ করেছে, পরিবেশ রক্ষায় প্লান্ট এলাকায় শতকরা ২৫ ভাগ গাছ নেই, এছাড়া আগুন নেভানোর জন্য ৩০ ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকলেও সেগুলোর মেয়াদ নেই। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় এসব বিষয়ে জি-গ্যাস কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। তাই তাদেরকে দশ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ইমরান খান আরো জানান, দুই নদীর প্রায় ৯৩ শতক জমি দখল করে এলপিজি প্লান্ট নির্মাণ করেছে জি-গ্যাস। নদী দখল করায় পরিবেশ আইনে তাদের ১০ লাখ টাকা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করায় আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।
আদালত পরিচালনার সহযোগিতায় ছিলেন খুলনা জেলা পুলিশ, এপিপিএন, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিএসটিআই ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
এমআরএম/জেডএস