বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ সারিদা আল কাফির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ সারিদা আল কাবিরের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল এ সময় উপস্থিত ছিলো।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, বাংলাদেশে জ্বালানিখাতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে চায় কাতার। দেশটির সঙ্গে এলএনজি সরবরাহে যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে তাতে আরো বিষয় যুক্ত করতে চায় তারা। এর মধ্যে পায়রা ল্যান্ডবেইজ এলএনজি এবং বিদ্যুৎকেন্দ্র ও মাতারবাড়িতে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে অন্তর্ভুক্ত হতে চায়। আমি সব আকারের আলোচনা করেছি। তাদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগগুলো বলেছি। তাদেরকে বলেছি যে অর্থনৈতিক জোন থেকে শুরু করে বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেকক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। কাতারের প্রতিমন্ত্রী কথা দিয়েছেন উনি দেশে যাওয়ার পর সবার সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।
বাংলাদেশকে তারা এখন সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশ হিসাবে ভাবছে বলেও জানান তিনি।
এরইমধ্যে মাতারবাড়িতে যে এলএনজি টার্মিনাল হতে যাচ্ছে, যেটির জন্য টেন্ডার করা হয়েছে, সেখানেও কাতার দরপত্র জমা দিয়েছে। সে বিষয়েও তারা আলোকপাত করেছে। এলএনজি বেইজড পাওয়ার প্লান্ট এবং এলএনজি সাপ্লাইসহ তারা পুরো প্যাকেজে বিনিয়োগ করতে চায়। কাতারসহ মোট ১২টি দরপত্র মাতারবাড়ি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে পড়েছে। তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে পরের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কাতারের সঙ্গে জ্বালানিখাতে দীর্ঘমেয়াদি অনেক চুক্তি রয়েছে। যেসব চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে, তা আরো বৃদ্ধি করতে চায় কাতার।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন অফ সিজন, আমি মনে করি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কর্মাশিয়াল গ্রোথটা আরেকটু দ্রুত ও বড় হওয়া উচিত। আমাদের যে মাস্টার প্লান আছে, এ বিষয় নিয়ে শিল্পকারখানার মালিক ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসা হয়েছে। তারা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চাচ্ছেন। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেলে শিল্পকারখানা বাড়বে। সেদিকেও চেষ্টা করা হচ্ছে এবং নতুন কমিটি বানিয়েছি। দেখা যাক আগামী বছর হয়তো আরো ভালো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস