২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু হবে। এক বছরের মধ্যেই এর সব কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিদ্যুত বিভাগ সূত্র জানায়, ইতোমধ্যেই সৌর-বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য জমি লিজ নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে সেখানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও ভূমি উন্নয়নের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।
ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদার ফলে ভবিষ্যত বিশ্বের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রতি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। উন্নত বিশ্বে ইতোমধ্যেই নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশেও অনেক দিন থেকেই নবায়নযোগ্য জ্ব্বালানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেষ্টা চলছে। এরই অংশ হিসেবে বিসিপিসিএল রিনিউয়েবল দেশের বিভিন্ন জায়গায় সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে।
বিদ্যুত বিভাগ সূত্র জানায়, সরকার অনেক দিন থেকেই অকৃষি খাসজমিতে সৌর-বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করে আসছিল। কিন্তু সরকারি সংস্থাগুলো অকৃষি খাসজমি সংস্থানে ব্যর্থ হয়। এই প্রথম পাবনাতে ৬০ মেগাওয়াট সৌর-বিদ্যুতের জন্য ২০৫ একর অকৃষি খাসজমি ইজারা পাওয়া গেছে।
৫০০ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রাথমিকভাবে চারটি এলাকাকে নির্বাচন করা হয়েছে। জমির প্রাপ্যতা, সৌর রশ্মি, বায়ু প্রবাহ ও গ্রিডের দূরত্ব বিবেচনায় পাবনা, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা ও পায়রাকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও পায়রাতে তিনটি বড় সৌর-বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্তত ১০ ভাগ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিয়েছে জাতিসংঘ। এখন বাংলাদেশের ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। দশ শতাংশ হিসেবে এর থেকে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের কথা। কিন্তু দেশে গ্রিড সংযুক্ত সৌর-বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতা মাত্র ৩৩ মেগাওয়াট। এর পরিপ্রেক্ষিতেই নতুন করে সৌর-বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
এনডব্লিউপিজিসিএল’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এম খোরশেদুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা পাবনায় ৬০ মেগাওয়াট সৌর-বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। আগামী বছরের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে আসবে বলে আশা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
এসএইচএস/এইচজে