শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) জেলা পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
স্থানীয়রা জানান, রোববার (১০ নভেম্বর) ঘূর্ণিঝড়ে জেলাজুড়ে বিদ্যুতের লাইনসহ ফসল, ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জেলা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক মফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, রোববার (১০ নভেম্বর) রাতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে জেলায় প্রায় ৫ শতাধিক বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। এতে করে জেলার অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এবং পর দিন সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেল থেকেই ১২শ’ শ্রমিক বিদ্যুত সংযোগ পুন:স্থাপনের কাজ চলছে। তিনি দাবি করেন, জেলার প্রায় ২ হাজার ১শ’ কিলোমিটার লাইন মেরামতের কাজ বাকি আছে। আর এতে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বঞ্চিত আছেন। আশা করি, দু’এক দিনের মধ্যে সব গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে যাবেন।
নাজিরপুর উপজেলার বিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানা যায়, নাজিরপুর উপজেলায় মোট প্রায় ৩২ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। বুলবুলের তাণ্ডবে এখানে প্রায় ৮০টি খুঁটি ভেঙে গেছে। এরই মধ্যে প্রায় ৩০টি খুঁটি পুনঃস্থাপন করে ১০ হাজার গ্রাহকে পুনঃসংযোগ দেওয়া হয়েছে।
জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার দায়িত্বে থাকা (ডিজিএম) মো. জুলফিকার রহমান জানান, মঠবাড়িয়ায় ৬৭ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। উপজেলায় মোট ৩৫টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও ৫শ’ শতাধিক তার ছিঁড়ে গেছে। বিদ্যুতের লাইন পুনঃসংযোগের জন্য গত রোববার বিকেল থেকে প্রায় শতাধিক শ্রমিক কাজ করছেন। তিনি দাবি করেন, শুক্রবার প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহকে পুনঃবিদ্যুত সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
ওএইচ/