শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টন মোড়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব বাতিলের দাবিতে এ গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করা হয়।
সপ্তাহব্যাপী গণস্বাক্ষর কর্মসূচির শেষ দিনে শত শত মানুষ গণস্বাক্ষর করে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব বাতিলের দাবি জানান।
গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচিতে স্বাক্ষরকারী নাম প্রকাশ না শর্তে এক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের আয় না বাড়লেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন অতিষ্ঠ। এরপর যদি বিদ্যুতের দাম বাড়ে সবকিছুর দাম আবার বাড়বে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য বলেন, আমার বাড়িতে একটি ফ্যান, একটি ফ্রিজ ও একটি লাইট জ্বালিয়ে আগে বিল দিতাম ৩০০/৪০০ টাকা, এখন বিল দিতে হয় ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। এটা দুর্নীতি ছাড়া আর কিছু না।
সাধারণ নাগরিকরা মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব বাতিল করে বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতি, অপচয় ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে জোরদার অভিযান পরিচালনার দাবি জানান সরকারের কাছে।
গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজকদের পক্ষ থেকে সিপিবির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, বিদ্যুতের সরকারিখাতকে পঙ্গু করে বেসরকারিখাতে উৎপাদন বাড়িয়ে দেশকে সঙ্কটের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ না করে কতিপয় গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি জ্বালানিখাতের দুর্নীতিবাজদের ও ভুলনীতি প্রণেতাদের বিচার দাবি করেন। এছাড়াও তিনি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ না করে সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের দাবি জানান।
সপ্তাহব্যাপী সংগৃহীত গণস্বাক্ষর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) জমা দেওয়া হবে বলে আয়োজকরা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
আরকেআর/জেডএস