রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের চুকোতকা অঞ্চলের পেভেক শহরের চাউন-বিলবিনো নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্প্রতি বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী, পরমাণু বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবাদীরা এ প্রকল্পটিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
রুশ রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশনের (রসাটম) প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্ডার লিখাচভ এ উপলক্ষে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, একাডেমিক লামানোসভ হলো বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যা ক্ষুদ্র মডিউলার রিয়্যাক্টর প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। রাশিয়া ও বিশ্বের পারমাণবিক শিল্পে এটি একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
লল্ডনভিত্তিক এনজিও এনার্জি ফর হিউমিনিটির প্রধান ক্রিস্টি গোগান তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, অত্যন্ত বিরূপ জলবায়ুর দুর্গম অঞ্চল, যেখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার টেকসই নয়, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর পুরোপুরি নির্ভর করাও সম্ভব নয়, এমন অবস্থায় ক্ষুদ্র ও ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রই একমাত্র সমাধান। আর্কটিকসহ অন্যান্য অঞ্চলকে কার্বনমুক্ত করার ক্ষেত্রে একাডেমিক লামানোসভ প্রথম পদক্ষেপ।
বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম শুরু করার পর একাডেমিক লামানোসভ হবে রাশিয়ার ১১তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। রাশিয়ার নির্মিত ক্ষুদ্র পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দেশটির উত্তর ও দূরপ্রাচ্য অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে ব্যবহার করা ছাড়াও অন্যান্য দেশেও রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে।
১৪৪ মিটার দীর্ঘ ও ৩০ মিটার প্রশস্ত ভাসমান একাডেমিক লামানোসভে দুইটি কেএলটি-৪০সি রিয়্যাক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে, যার প্রতিটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৩৫ মেগাওয়াট।
ক্ষুদ্র মডিউলার রিয়্যাক্টরভিত্তিক ৩০০ মেগাওয়াটের কম উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রেগুলো জলে বা স্থলে কাজ করতে সক্ষম এবং রি-ফুয়েলিং ছাড়াই অনবরত তিন থেকে পাঁচ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
এসকে/আরবি/