রমজান মাসের অন্যতম নেয়ামত হচ্ছে গোনাহ মাফ ও আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমাপ্রাপ্তি। এজন্য দরকার বেশি বেশি তওবা ও ইস্তেগফার।
সুতরাং এ মাসে বান্দাকে সব সময় আল্লাহর দরবারে দোয়া-মোনাজাত করতে হবে। তওবা-ইস্তিগফারের মাধ্যমে নিজের জীবনকে পাপমুক্ত করার জন্য আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করতে হবে।
দোয়া ও মোনাজাত হচ্ছে মুমিনের প্রধান হাতিয়ার। দুনিয়া ও আখেরাতের নানা সঙ্কট থেকে মুক্তির জন্য এ মোবারক মাসে আল্লাহর দরবারে খাস দিলে দোয়া করলে আমাদের জীবনে কামিয়াবির পথ রচিত হবে। নিজেদের নাজাতের দোয়া, কামিয়াবির দোয়া, পেরেশানি থেকে মুক্তির দোয়াসহ সামষ্টিক কল্যাণ, জাতি, দেশ ও উম্মাহর উত্তরণ এবং সমৃদ্ধির দোয়া আমরা এ মাসটিতে করতে পারি। হাদিস শরিফে দোয়াকে বলা হয়েছে ‘ইবাদতের সারবত্তা। ’
অপর হাদিসে ধনিত হয়েছে আল্লাহতায়ালা রমজানের প্রতিদিন ও প্রতিরাতে বহুসংখ্যক লোককে মুক্তিদান করেন এবং প্রত্যেক মুসলমানের একটি দোয়া প্রতিদিন কবুল হয়। দোয়া-মোনাজাত ও ইস্তেগফারের পাশাপাশি সহজ-সহজ জিকির ও তাসবিহ পাঠ করেও অধিক সওয়াবের অধিকারী হতে পারি। তাই আসুন, আমরা রমজানে এই মহা নেয়ামত গ্রহণের চেষ্টা করি।
পবিত্র রমজান মাসে পাঠ করার জন্য তারিখভিত্তিক কোনো দোয়ার বর্ণনা হাদিসের কিতাবে নেই। অতএব কোনো দোয়াকে নির্দিষ্ট তারিখের মনে করা যাবে না। যেহেতু রমজান মাসে সবাই দ্বীন চর্চার জন্য অন্য মাসের তুলনায় বেশি সময় দিয়ে থাকে- তাই পাঠকমহলের পাঠ করার ও শেখার সুবিধার্থে রমজান মাসে প্রতিদিন একটি করে দোয়া (বাংলা উচ্চারণ, অর্থ ও ফজিলত) উল্লেখ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ জুন ১৭, ২০১৫
এমএ/