অপারেশনের মাধ্যমে পেট থেকে পাথর বা টিউমার ইত্যাদি বের করা
পেট অপারেশন করে অথবা পেট ছিদ্র করে পাথর বা টিউমার ইত্যাদি বের করার সময় যদি কোনো প্রকার ঔষধ পেটের ভিতরে প্রবেশ করানো না হয় তাহলে এই জাতীয় অপারেশনের কারণে রোজা ভঙ্গ হবে না।
আর যদি কোনো প্রকার মেডিসিন পেটের ভিতরে দেওয়া হয় অথবা পেট থেকে কোনো অঙ্গ কেটে সেখানে আবার তা পুনঃস্থাপন করা হয় তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।
পক্ষান্তরে পেট বা মস্তিস্কের অপারেশন ব্যতীত অন্য যে কোনো অঙ্গের অপারেশন দ্বারা রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। চাই সেই অঙ্গে মেডিসিন ঢুকানো হোক বা না হোক। সেখান থেকে অঙ্গ কেটে এনে আবার সেখানে বা অন্যস্থানে স্থাপন করা হোক কিংবা না হোক। -ফতহুল কাদির: ২/৩৪৬, জাদিদ ফিকহি মাসায়েল: ১/১০২, ফতোয়ায়ে আলমগিরি: ১/১০৪
অক্সিজেন মাস্ক
রোগীর অবস্থা জটিল হয়ে গেলে অনেক সময় দেখায় যায়, তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। তখন নাকে মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো হয়, কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দেয়া হয়। এরূপ জটিল অবস্থায় তো তার জন্য রোজা রাখার বাধ্যবাধকতা নাই। তার পরও যদি আল্লাহর কোনো বান্দা এমন অবস্থায় রোজা রাখতে চায় এবং অক্সিজেন মাস্ক দিয়ে শুধু বাতাস প্রবেশ করানো হয়; সঙ্গে অন্যকিছু দেয়া না হয় তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে না। কারণ এটা কেবলমাত্র এক প্রকার শ্বাসগ্রহণ। আর শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে বায়ু বা বাতাস গ্রহণ করা রোজা ভঙ্গের কারণ নয়। এছাড়াও এটার উপর ‘খাওয়া‘ বা ‘পান’ করার সংজ্ঞা প্রয়োগ হয় না। -ফতোয়ায়ে শামি: ২/১২৫, ফতোয়ায়ে উসমানি: ২/১৮০
ডিএন্ডসি
ডিএন্ডসি’র মাধ্যমে জীবত কিংবা মৃত বাচ্চাকে মায়ের গর্ভ থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়। এতে রোজা ভেঙ্গে যাবে। অযথা এমন করলে রোজার কাজা-কাফফারা উভয়টি দিতে হবে এবং তওবা করতে হবে। -হেদায়া
এমআর
এমআর হলো- গর্ভধারণের কিছুদিন পর যোনিদ্বার দিয়ে জরায়ুতে এমআর সিরিঞ্জ প্রবেশ করিয়ে জমাট বাঁধা রক্ত বা ভ্রণ নিয়ে আসা। এর পর ঋতুস্রাব পুনরায় শুরু হয়। অতএব মাসিক শুরু হওয়ার কারণে রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং কাজা আদায় করতে হবে। কিন্তু যদি রাতের বেলা এমঅার করা হয়- তাহলে দিনের রোজা কাজা করতে হবে না। -ফাতহুল কাদির
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘন্টা, জুলাই ০১, ২০১৫
এমএ/