বেশি বেশি নফল ইবাদত-বন্দেগি, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া-দরুদ, তাওবা-ইস্তিগফার ও আল্লাহর দরবারে বিনয়াবনত প্রার্থনা পেশের মাধ্যমে রহমত কামনার উত্তম মাস মাহে রমজান।
নবীজী (সা.) বলেছেন, রমজানের নফল ইবাদত অন্য মাসের ফরজের সমতুল্য।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এ মাসে দয়াময় আল্লাহতায়ালা তোমাদের প্রতি শুভ দৃষ্টি দেন এবং রহমত বর্ষণ করেন, তোমাদের সব গুনাহ মাফ করে দেন ও দোয়া কবুল করেন। তোমাদের মধ্যে যদি কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী অধিক সৎ কাজ করে শীর্ষস্থান অধিকার করতে পারে, আল্লাহ তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে থাকেন এবং বেশি বেশি ফেরেশতাদের কাছে গর্ব করেন।
নবীজী (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা অনেক বেশি সৎ কাজ করে আল্লাহকে দেখিয়ে দাও। আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে এ মাসে একমাত্র হতভাগ্যরাই বঞ্চিত থাকে। ’ (মিশকাত)
যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মাহে রমজানের পূর্ণ একটি মাস রোজা পালন করে, ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকে, এমন রোজাদার ব্যক্তিরাই দুনিয়া ও আখেরাতে সফলকাম। বুদ্ধিমান ও জ্ঞানীরা এ সুবর্ণ সুযোগের পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করে।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ মানুষের প্রতি কোনো অনুগ্রহ অবারিত করলে কেউ তা নিবারণ করতে পারে না এবং তিনি কিছু নিরুদ্ধ করতে চাইলে এরপর কেউ তার উন্মুক্তকারী নেই। ’ (সূরা আলফাতির-২)
রোজা পালনের মধ্য দিয়ে মুমিন বান্দারা আত্মিকভাবে নিজেকে একজন প্রকৃত মুমিন হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। তাই আল্লাহতায়ালা রমজান মাসে তার রহমতের দরজা অবারিত করে দেন। যারা অপরিণামদর্শী, তারা এসবের খুব একটা গুরুত্ব দেয় না, বিভিন্ন অজুহাতে রোজা রাখে না, অশালীনতা ও প্রকাশ্যে পানাহার করে। এসব অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ।
নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘কেউ যদি প্রদত্ত অবকাশ ও অসুস্থতা ব্যতীত রমজান মাসের একটি দিনও রোজা ভঙ্গ করে, জীবনভর রোজা রাখলেও তার পরিপূরক হবে না। ’ (তিরমিজি)
যে রমজান মাসকে আল্লাহ এত অধিক মর্যাদাপূর্ণ, রহমত ও বরকতময় করেছেন সেই মহান মাসের প্রতি যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা প্রদর্শন করা কি আমাদের উচিত নয়? আমাদের কি উচিত নয় এ মাসে অনেক বেশি ইবাদতে মগ্ন থাকা? এ মাসে অনেক বেশি সওয়াব কামানোর প্রচেষ্টা চালানো?
লেখক: মুফাসসিরে কুরআন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।
চেয়ারম্যান: বাংলাদেশ মুফাসসির সোসাইটি
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৮
এমএ/