রোজার ফিদইয়া কী?
শরিয়ত মোতাবেক কেউ রোজা রাখার সামর্থ্যহীন হলে প্রতিটি রোজার জন্য একটি করে ‘সদকাতুল ফিতর’-এর সমপরিমাণ গম বা তার মূল্য গরিবদের দান করাই হলো রোজার ‘ফিদইয়া’।
অতিশয় বৃদ্ধ বা গুরুতর রোগাক্রান্ত ব্যক্তি, যার সুস্থ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই অথবা রোজা রাখলে জীবনহানির আশঙ্কা থাকে, তারা রোজার বদলে ফিদইয়া আদায় করবেন।
অসুস্থ ব্যক্তি ফিদইয়া আদায় না করে মারা গেলে তার পরিত্যক্ত সম্পদ থেকে ফিদইয়া আদায় করা কর্তব্য; যদি মৃত ব্যক্তি অসিয়ত করে যান। অন্যথায় আদায় করা মুস্তাহাব। উল্লেখ্য যে প্রতিটি রোজার ফিদইয়া হলো একটি সদকাতুল ফিতর অর্থাৎ ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম আটা বা তার সমমূল্য দরিদ্র এতিম বা মিসকিনকে দান করা অথবা একজন ফকির বা গরিবকে দুই বেলা পেট পুরে খাওয়ানো।
রোজার ফিদইয়া সম্পর্কে ইসলাম কী বলে?
রমজান মাসে যারা পীড়িত, অতিবৃদ্ধ, যাদের দৈহিক দুর্বলতার কারণে রোজা পালন করা কষ্টদায়ক হয়, যারা ভ্রমণে থাকার কারণে রোজা পালন করতে পারেন না, তাদের জন্য রোজার কাজা, কাফফারা, ফিদইয়া ইত্যাদি বদলাব্যবস্থা স্থির করে ইসলামি শরিয়তে সুনির্দিষ্ট বিধি-ব্যবস্থা রয়েছে।
এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নির্দিষ্ট কয়েক দিনের জন্য তোমাদের মধ্যে কেউ পীড়িত হলে বা সফরে থাকলে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করে নিতে হবে।
এটা (সিয়াম) যাদেরকে অতিশয় কষ্ট দেয় তাদের কর্তব্য এর পরিবর্তে ‘ফিদইয়া’- একজন অভাবগ্রস্তকে খাদ্য দান করা। যদি কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৎ কাজ করে, তবে সেটা তার পক্ষে অধিকতর কল্যাণকর। যদি তোমরা উপলব্ধি করতে তবে বুঝতে সিয়াম পালন করাই তোমাদের জন্য অধিকতর কল্যাণপ্রসূ। ’ –সূরা বাকারা: ১৮৪
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
এসআই