ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বসুন্ধরা শুভসংঘ

‘বসুন্ধরা শুভসংঘের খাবার খেয়ে এইচএসসি পাস করেছি’ 

নিউজ ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৪
‘বসুন্ধরা শুভসংঘের খাবার খেয়ে এইচএসসি পাস করেছি’ 

বরিশাল: শান্তা হালদার। আগৈলঝাড়া সরকারি শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রি কলেজের দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী।

তার ঘরে খাবার ছিল না। মা অসুস্থ। কী খেয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে যাবে এ দুশ্চিন্তায় ছিলেন শান্তা ও তার মা কাজলি হালদার।  

এ কথা জানতে পারে দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক সহয়তার সংগঠন বসুন্ধরা শুভসংঘ। সঙ্গে সঙ্গে শান্তার বাড়িতে (গত ৩০ জুন) খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির হয় বসুন্ধরা শুভসংঘ।

বসুন্ধরা শুভসংঘের দেওয়া খাবার খেয়ে প্রতিদিন পরীক্ষা দিতে গেছেন শান্তা। এ পরীক্ষায় শান্তা চলতি বছর বিজ্ঞন বিভাগ থেকে জিপিএ ৪.৯২ পেয়েছেন। শুধু খাদ্য সহায়তাই নয়, বসুন্ধরা শুভসংঘ দায়িত্ব নিয়েছে তার লেখাপড়ারও। বসুন্ধরা শুভসংঘের জন্য শান্তা এখন ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

শান্তা হালদার বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলা গৈলা ইউনিয়রে কাঠিরা গ্রামের কাজলি হালদারে মেয়ে।
 
আগৈলঝাড়া বসুন্ধরা শুভসংঘ অস্থায়ী কার্যালয়ে বসে চাল, আটা, ডাল, তেল, লবণ, বিস্কুট, সাবান ও কলমসহ এক মাসের খাদ্যসামগ্রী শান্তা হালদার ও তার মা কাজলি হালদারের হাতে তুলে দেয় বসুন্ধরা শুভসংঘ উপদেষ্টা এসএম ওমর আলী সানি।  

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আগৈলঝাড়া উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজল দাস গুপ্ত, বসুন্ধরা শুভসংঘ আগৈলঝাড়া শাখার সহপভাপতি আয়কর আইনজীবী সমীরণ রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবিক খান, সদস্য চয়ন হালদার ও রাশেদুল ইসলাম।

কাজলি হালদার অশ্রুসজল চোখে বলেন, ‘আমার ঘরে কোনো খাবার ছিল না। আমি অসুস্থ ছিলাম। আমার মেয়ে কী খেয়ে পরীক্ষা দিতে যাবে, এ নিয়ে আমি দুশ্চিন্তায় ছিলাম। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমাদের খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সহায়তা করে। আমার মেয়ে শান্তা বসুন্ধরা শুভসংঘের খাবার খেয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়। আমার মেয়েকে আর না খেয়ে পরীক্ষা দিতে হয় নাই। আমার মেয়ে এখন পাস করেছে। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমার মেয়ের লেখাপড়ার দায়িত্বও নিয়েছে। এখন আমার মেয়ে ডাক্তার হতে চায়। আশা করি, তার স্বপ্ন পূরণ হবে। ’ 

শান্তা হালদার বলেন, ‘আমি ২০২২ সালের এসএসসিতে বিজ্ঞান শাখায় জিপিএ-৫ পাই। কলেজে ভর্তি হওয়ার মতো টাকা ছিল না। তখনও বসুন্ধরা শুভসংঘের সহযোগিতায় আগৈলঝাড়া সরকারি শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হতে পারি। আমি কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকে বই, কলম, খাতা, কলেজের বেতন, পরীক্ষার ফরম পূরণের খরচসহ সব খরচ দিয়ে আমার লেখাপড়া চালিয়ে আসছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। এ সহযোগিতার কারণে আমি লেখাপড়া করতে পারছি। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমার পাশে দাঁড়ানোর কারণে আমি ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। এ সহযোগিতা না পেলে আমার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যেত। আমি বসুন্ধরা শুভসংঘের দেওয়া খাবার খেয়ে পরীক্ষা দিতে গেছি, পাস করেছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৪
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।