‘রাসায়নিক সারের যথেচ্ছ ব্যবহারে জমির উর্বরতা শক্তি ক্রমাগত কমতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে উৎপাদিত ফসল মানুষের নানা শারীরিক জটিলতা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে তরুণ কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ সভায় এসব কথা বলেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাশিদুল কবীর।
উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের গ্রামীণ জনপদের একটি আবাদি জমিতে সভা অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি কর্মকর্তা জৈব সারের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
উপজেলা শুভসংঘের সহসভাপতি ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্থানীয় কৃষক মফিজল ইসলাম, শুভ সংঘের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আকাশ, সিনিয়র সহসভাপতি কামরুল ইলাম কানন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. রুবেল মিয়াসহ অন্যরা।
কৃষি কর্মকর্তা রাশিদুল কবীর তরুণ কৃষকদের উদ্দেশে বলেন, শুধু মূল্য বা উর্বরতা শক্তি কমিয়ে দেওয়াই নয়; প্রয়োজনের সময় অনেক সার হাতের নাগালে পান না কৃষকরা।
পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উপাদানহীন ভেজাল রাসায়নিক বিক্রি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। যার ফলে কাঙ্ক্ষিত ফসল থেকে বঞ্চিত হন কৃষক। অথচ কেঁচো কম্পোস্ট, খামারজাত গোবর সার, ট্রাইকো ডারমা ধরনের সার কৃষকরা নিজেরা উদ্যোগ নিলেই তৈরি করা সম্ভব। এ জন্য কৃষি বিভাগ প্রয়োজনীয় সহায়তা দানে প্রস্তুত।
কৃষক মফিজল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবার চাষাবাদে সার সংগ্রহ করে হিমশিম খাই। কৃষি বিভাগ সহায়তা ও পরামর্শ দিলে জৈব সার ব্যবহার করব। ’
শুভ সংঘের সাধারণ সম্পাদক নূর ইসলাম বলেন, ‘এই আয়োজনটি তরুণ কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য শুভসংঘ আবারও কৃষিতে প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার ও স্বাস্থ্যসচেতনতা নিয়ে এ জাতীয় আয়োজন করবে। ’
অনুষ্ঠান আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করেন শুভসংঘের মো. সুমন মিয়া, মামুন মিয়াসহ অন্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
এসএএইচ