ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬ রজব ১৪৪৬

খেলা

কক্সবাজার জেলা-উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি ‘ফাইলবন্দি’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৫
কক্সবাজার জেলা-উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি ‘ফাইলবন্দি’

কক্সবাজার: কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামজুড়ে সুনশান নিরবতা। গ্যালারিতে নেই দর্শকদের উচ্ছ্বাস।

শূন্য গ্যালারির চেয়ারগুলোতে জমেছে ধুলোবালি।  

সবুজের ঘাসে বাজে না বুট ও বলের ধ্বনি। পুরো মাঠ যেন ফ্যাকাসে হয়ে আছে আর ধুলোবালি। এখন কার্যক্রম আর খেলা চলে ভাড়াটে। প্রতিদিন যে কেউ ভাড়া নিয়ে তাদের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের কারণে নিয়মিত যারা খেলোয়াড়-কর্মকর্তা আছেন তারাও সুযোগ পাচ্ছেন না। এ ছাড়া প্রতিবছর জেলার সর্বোচ্চ আয়োজন ডিসি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট হয় তাও এবার হচ্ছে না। যার কারণে খেলোয়াড়রা অন্য মনোভাব পোষণ করে পেশা পরিবর্তন করছেন।  

বরাবরই অভিযোগ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি না থাকায় এমন বেহাল অবস্থা ক্রীড়াঙ্গণের। ইনডোরে কারাতে ও আউটডোরে চলছে ঘামঝরা প্র্যাকটিস। এতেই সবকিছু সীমাবদ্ধ। মাঠে টুর্নামেন্ট না থাকায় খেলোয়াড়দের মাঝে নেই প্রাণচাঞ্চল্য। এতে হতাশ খেলোয়াড় ও ক্রীড়ামোদীরা।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সবশেষ ক্রীড়া সংস্থার চার বছর মেয়াদী কমিটি হয়েছিল। কিন্তু ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ভেঙে দেওয়া হয় জেলা-উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সব কমিটি। এরপর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাত সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি গঠনের পরিপত্র জারি করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ চার মাস পার হলেও কক্সবাজার জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটি হয়নি। অথচ ১৫ অক্টোবরের মধ্যে জেলা-উপজেলা কমিটি গঠন করার জন্য পুনরায় চিঠি ইস্যু করে মন্ত্রণালয়। সেই চিঠিও অবজ্ঞা করে আসছেন। ফলে ঝিমিয়ে পড়েছে জেলার ক্রীড়াঙ্গন। দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।  

কক্সবাজার সদর উপজেলা সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাবের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, মাঠে খেলোয়াড় আছে কিন্তু টুর্নামেন্ট নেই। ৯০ দশকে বছরে ২০-৩০টি টুর্নামেন্ট থাকতো। কিন্তু এখন বছরে ১-২টি টুর্নামেন্টও চোখে পড়ে না। নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন না থাকায় মেধা বিকাশের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জেলার সম্ভাবনাময় কিশোর-তরুণেরা। যার কারণে ক্রীড়াঙ্গন অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে। কমিটি করে মাঠ সরব না রাখলে ভালো খেলোয়াড় তৈরি হবে না।  

বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি এমআর মাহবুব বলেন, পুর্বের কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর সব এলোমেলো হয়ে গেছে। নেই কোনো লীগ বা টুর্নামেন্ট। তিনি আশা করেন দ্রুত কমিটি দিয়ে জেলার সবখানে ক্রীড়াঙ্গন সরব রাখার।  নতুন এডহক কমিটিতে যেন প্রকৃত ক্রীড়াবান্ধব মানুষদের রাখা হয়। তিনি দ্রুত জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থায় এডহক কমিটি দেওয়ার দাবি জানান।  

জেলা ক্রীড়া অফিসার মাঈন উদ্দিন মিলকী বলেন, সরকারি-বেসরকারি ছোট ছোট কিছু আয়োজন বাস্তবায়ন হচ্ছে। জেলা ক্রীড়া অফিসের উদ্যোগে নিয়মিত ক্রীড়ার ইভেন্ট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জেলা-উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটি গঠনে প্রক্রিয়া চলছে।  

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, যাচাই বাছাই করে দ্রুত কমিটি গঠন ঘোষণা করা হবে। জটিলতা সম্পন্ন করে প্রকৃত যারা ক্রীড়া চর্চা করে তাদের নিয়ে কাজ করা হবে। এতে করে সচল হবে ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২৫
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।