এশিয়া

শুরুটা করেছেন তাসকিন আহমেদ। এরপর যোগ দিলেন শরিফুল ইসলাম ও সাকিব আল হাসান। তাই প্রথম পাওয়ার প্লে শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে আছে

পুঁজি খুব বেশি হয়নি। তাই জিততে হলে দ্রুতই ভেঙে দিতে হবে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপ। সেই মন্ত্র জপেই ফিল্ডিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের ম্যাচ হওয়ার আগপর্যন্ত পাল্লেকেলেতে আজ ছিল রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি। ম্যাচের মাঝখানেও একবার হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। তবে

নাজমুল হোসেন শান্ত ক্রিজে পৌঁছে গেছেন স্ট্রাইক প্রান্তের। লাইনের খানিকটা বাইরে দাঁড়িয়ে কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না মেহেদী

কল দিয়ে ২২ গজের অর্ধেকটাও পেরোননি। কিন্তু নাজমুল হাসান শান্ত দৌড়ে চলে গেছিলেন অপর প্রান্তে। ততক্ষণে বোলিং প্রান্তে রান আউট করে

বলা হয়ে থাকে শ্রীলঙ্কা বরাবরই তার প্রিয় প্রতিপক্ষ। কিন্তু আজ এশিয়া কাপে হাসেনি তার ব্যাট। প্রায় সময়ই বিপদের সময়ে ঢাল হয়ে দাঁড়ানো

সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার বাবর আজম। তবে অনেকেই অন্যতম শব্দটা বাতিলের খাতায় রেখে দেন। তাদেরই একজন বিরাট কোহলি। তিন ফরম্যাটেই

চাপ সামাল দেওয়ার বার্তা ছিল তাদের ব্যাটিংয়ে। জুটিও মজবুত করে ফেলেছিলেন প্রায়। কিন্তু পথ হারালেন তাওহীদ হৃদয়। নাজমুল হোসেন শান্তর

এসেছিলেন শুরুর ধাক্কা সামাল দিতে। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক স্থায়ী হন কেবল ১৩ বল ও ৫ রানের জন্য। মাথিশা পাথিরানার শর্ট বলে উইকেটের

তানজিদ হাসান তামিম ও নাঈম শেখ। একজনের অভিষেক ও আরেকজনের অভিজ্ঞতা কেবল ৪ ম্যাচের। অনভিজ্ঞ ওপেনারদের নিয়ে বেশি দূর এগোতে পারল না

অভিষেকের পর থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তাওহীদ হৃদয়। ৯ ম্যাচ খেলে ওয়ানডেতে ৪৮.২৮ গড়ে তিন ফিফটিসহ ৩৩৮ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

এবারের এশিয়া কাপ নিয়ে বেশ বড় স্বপ্নই রয়েছে বাংলাদেশের। পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে টস জিতে শুরুতে

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা লড়াইয়ে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছিল ২০১৮ সালের নিদাহাস ট্রফি। সেই থেকে এই দুই দলের ম্যাচকে ঘিরে বাড়তি উন্মাদনা

রানের পাহাড় জমা হয়ে গিয়েছিল আগেই। জয়টাও ছিল অনেকটা অনুমিত, ব্যবধানটা কেমন হয়; দেখার ছিল কেবল সেটিই। শেষ অবধি সেটি নিয়েও সন্তুষ্টই

চাপের মুখে শক্ত হাত হাল ধরলেন। উইকেটের পতন ঠেকিয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ জুটিতে রাখলেন মুখ্য ভূমিকা। অবশেষে পরিশ্রমের ফল হাতেনাতে