টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের লো স্কোরিং ম্যাচে আজ বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবার সেমিফাইনালে উঠেছে আফগানিস্তান। ম্যাচে
কাবুল থেকে কান্দাহার, কিংবা জালালাবাদ-পাকতিয়া। সবখানেই একই চিত্র। রাস্তায় নেমে উদযাপন করছেন হাজারো আফগান। এমনটাই কি হওয়ার কথা ছিল
২০১৪ সালে প্রথমবার খেলা হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। দশ বছর পর এবার সেমিফাইনালে উঠেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। অথচ ২০০৭ থেকে বিশ্বকাপ
বৃষ্টি বা আলোকস্বল্পতার কারণে ক্রিকেট খেলায় বিঘ্ন ঘটলে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে ফল নির্ধারণ করা হয়। সেই নিয়মের
হঠাৎ করেই ক্র্যাম্প হলো গুলবাদিন নাইবের। ধারাভাষ্য কক্ষ তো বটেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাইকে বিষয়টি নিয়ে ঠাট্টায় মেতে উঠলেন।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল একেবারেই কম প্রত্যাশা নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারায় সেটি গিয়ে ঠেকেছিল
আগেই জানিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই ফরম্যাট থেকে অবসর নেবেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার। আজ আফগানিস্তানের কাছে
ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে আফগানিস্তান। সেমিফাইনালে ওঠার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি
আফগানিস্তানকে কেবল ১১৬ রানেই আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ। এরপর এই রান করতে হতো ১২ ওভার ১ বলে। তাহলেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের
নাটকে ভরা এক ম্যাচ। শেষে বাংলাদেশের জন্য জমা হলো হতাশা, যেন বরাবরের মতোই। সেমিফাইনালে যাওয়ার সমীকরণ মেলানোর মতো ব্যাটই করছিল
আফগানিস্তানের দেওয়া অল্প লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা ঝড়ো করলেও উইকেট হারানো থামাতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারে তানজিদ হাসান
সুপার এইটের প্রথম দুই ম্যাচেই হেরে গিয়েছে বাংলাদেশ। তবুও শেষটিতে এসেও টিকে আছে সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা। এমনকি প্রথম ইনিংস পর
প্রথমে দুই ওপেনার ইনিংস টেনে নিয়ে গেলেন অনেকদূর। আগে থেকেই চাপে থাকা আফগানিস্তানকে আরও চাপে পড়লো উইকেট যাওয়া শুরু হলে। এরপর
আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ের মূল ভিত তাদের উদ্বোধনী জুটি। এই টুর্নামেন্টে আগেও দুবার একশ পেরোনো জুটি গড়েছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও
বেশ কঠিন এক সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। তবে অসম্ভব নয়। সুপার এইটে টানা দুই ম্যাচ হেরেও এই সম্ভাবনাটুকু টিকে থাকার কারণ