ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

বান্দরবানে শুরু হয়েছে ২ দিনের লোকজ মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পিঠা উৎসব

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
বান্দরবানে শুরু হয়েছে ২ দিনের লোকজ মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পিঠা উৎসব

বান্দরবান: পর্যটক ও স্থানীয়দের বিনোদনের জন্য বান্দরবান জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে ২ দিনব্যাপী লোকজ মেলা ,পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে এই মেলার উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

এ সময় মেলা প্রাঙ্গণে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের স্টল পরিদর্শন করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হওয়ার ফলে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ জেলা হবে বান্দরবান। আমাদের আরও আধুনিক হতে হবে। তবে সেটা নিজের ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে ভুলে নয়। আধুনিক হতে হবে এজন্য যে, বান্দরবান এখন পর্যটন নগরী।

এসময় বান্দরবান পার্বত্য জেলার ১২টি জাতিগোষ্ঠীর কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, থানচি উপজেলায় বড় পাথর তমা-তুঙ্গী, নাফাকুম এখন আতঙ্ক নয়, পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। পর্যটনের অপার সম্ভাবনা আর উন্নয়নের ফলে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটছে এবং আগামীতেও আরও পর্যটক বান্দরবান ভ্রমণে আসবে।  

তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হওয়ার ফলে রাতে ঢাকা থেকে বাসে এসে সকালে বান্দরবান পৌঁছে সারাদিন ঘুরেফিরে আবার রাতেই ঢাকায় রওয়ানা দিতে পারছেন পর্যটকরা। এই উন্নয়ন সমষ্টিগতভাবেই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানে। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন পরিকল্পনা নেন, আর তা সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করেন। যার ফলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, বান্দরবান একটি পর্যটন জেলা আর এই পর্যটন জেলায় প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক আসেন। তাদের সার্বিক ভ্রমণ ও নিরাপদ করতে প্রশাসন প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা পর্যটকদের বান্দরবান ভ্রমণে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে থাকি। বিশেষ করে লোকজ মেলা, পিঠা উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর ফলে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সহজেই পর্যটকদের যোগাযোগ হয়। আর এই যোগাযোগের মাধ্যমে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটে। অন্যদিকে পর্যটকরা সহজেই ভালো ও সেরা মানের পাহাড়ের বিভিন্ন ফল ফলাদি ও হস্তশিল্পসহ বিভিন্ন দ্রব্যাদি পেয়ে থাকেন।

পরে মেলা প্রাঙ্গণে বান্দরবানের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, শিল্প ও শক্তি বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য  (সচিব) ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া আক্তার সুইটিসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।