ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

ঈদে পর্যটক বরণে প্রস্তুত রাঙামাটি

মঈন উদ্দীন বাপ্পী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৩
ঈদে পর্যটক বরণে প্রস্তুত রাঙামাটি

রাঙামাটি: ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। মুসলমানদের জন্য ঈদ মানে এক মাস সিয়াম সাধনার পর আল্লাহ প্রদত্ত উপহার।

তবে পাহাড়ে ঈদের আমেজটা ভিন্ন। শুধু ঈদ নয়, যেকোনো উৎসবে পাহাড় আনন্দের রঙে রাঙিত হয়। মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রস্তুতি সেরেছে রাঙামাটির মানুষ।

কয়েকদিন পর বাজতে থাকবে কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত গান- 
‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ,... আসমানী তাগিদ। ’

আর এ গানের সুরে মিশে যাবে ধনী-গরিব, উঁচু-নিচুর সব ভেদাভেদ। বিশ্বের মুসলমানদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সারা দেশের ন্যায় রাঙামাটির মুসলমানরা ঈদ উদযাপন করবে। ঈদুল ফিতরের আনন্দ পাহাড়ে অন্যরকম আমেজ তৈরি করে। পাহাড়ে বাঙালি ছাড়াও ১৩টি ক্ষুদ্র জাতি স্বত্তার বসবাস রয়েছে। তাই ঈদ, বিজু যেকোনো উৎসবে সব জাতি স্বত্তা মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। এ যেন সম্প্রীতির এক মিলনমেলা, এই বৈচিত্র্য জেলার অন্যান্য মানুষকে মুগ্ধ করে তোলে।

এদিকে ঈদুল ফিতরে পর্যটক বরণে প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে জেলার হোটেল-মোটেলগুলো। পর্যটন স্পটগুলোকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার-পরিছন্ন এবং মেরামতের কাজ শেষ করেছে। ঈদুল ফিতরের ছুটিতে হোটেলের অগ্রিম ৭০ শতাংশ বুকিং রয়েছে। পর্যটকদেও স্বাগত জানাতে প্রহন গুণছে হোটেল মালিকপক্ষ।

হোটেল নিডর্সের ম্যানেজার রাসেল আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের হোটেলে ৬০ শতাংশ অগ্রিম বুকিং হয়েছে। আশা করছি দুই দিনের মধ্যে শতভাগ বুকিং পাবো।

ম্যানেজার আরও বলেন, হোটেলের সব কক্ষ পরিষ্কার-পরিছন্ন করা হয়েছে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

হোটেল সাংগাই ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শরিফুল আলম শরিফ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের রাঙামাটি রূপ, প্রকৃতি অনিন্দ্য সুন্দর। পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে টানা বন্ধ থাকায় এ সুন্দর প্রকৃতি দেখতে পর্যটকরা ছুটে আসবেন এ জেলায়।  



তিনি আরও বলেন, আমাদের হোটেলের ৭০ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটকদের সেবা দেবে আমরা প্রস্তুতি শেষ করে ফেলেছি। আশা করছি, পর্যটকদের আমরা ভালোমানের সেবা দিতে পারবো।

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শোয়েব বাংলানিউজকে বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশন মোটেলের বেশিরভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। পর্যটকদের সব সুযোগ-সুবিধা দিতে পর্যটন করপোরেশন সব ধরনের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন।  

এ নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা এ মওসুমে ভালো ব্যবসা করতে পারবো। পর্যটকদের আনন্দ দিতে পুরো এলাকা পরিষ্কার-পরিছন্ন এবং ঝুলন্ত সেতু রং করা হয়েছে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভ্রতা ছড়িতে পড়ুক পাহাড়ের সবখানে এমনটা কামনা করছেন জেলার সর্বসাধারণ মানুষ।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।