ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

আইসিসিবিতে এশিয়ান পর্যটন মেলায় মালদ্বীপের ২৪ প্রতিষ্ঠান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪
আইসিসিবিতে এশিয়ান পর্যটন মেলায় মালদ্বীপের ২৪ প্রতিষ্ঠান

ঢাকা: বাংলাদেশে শুরু হয়েছে ১১তম এশিয়ান পর্যটন মেলা। এই মেলায় প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র মালদ্বীপের ২৪টি প্রতিষ্ঠানের ৪৭ জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন, যারা দেশটির বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র, হোটেল-মোটেলের তথ্য দিয়ে পর্যটকদের সাহায্য করছেন।

একই সঙ্গে সহজে কীভাবে মালদ্বীপে ভ্রমণ করা যায়, সে ব্যাপারেও তথ্য দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এশিয়ান পর্যটন মেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন হয়।

তিন দিনব্যাপী এই মেলা চলবে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এবারের মেলার প্রতিপাদ্য ‘খুলবে পর্যটনের দুয়ার এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার’।  

মেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত সচিব এ কে এম আফতাব হোসাইন প্রামাণিক। পর্যটন বিচিত্রার আয়োজনে মেলার টাইটেল স্পন্সর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, প্রাইম পার্টনার কান্ট্রি মালদ্বীপ, হোস্ট কান্ট্রি বাংলাদেশ, হসপিটালিটি পার্টনার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে অবস্থিত মালদ্বীপের দূতাবাসের হাইকমিশনার শিউনীন রাশেদ বলেন, এই মেলার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের জনগণের মধ্যে এক নতুন সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মালদ্বীপ পর্যটকদের জন্য পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় খরচ অনেক কম। আমি বাংলাদেশের পর্যটকদের আহ্বান জানাব মালদ্বীপ ভ্রমণ করার জন্য।

মেলায় মালদ্বীপের ন্যাশনাল ট্যুরিজম বোর্ডের ম্যানেজার আহমেদ সাইফ বলেন, আমরা এবারই প্রথম এই মেলায় অংশ নিয়েছি। এখানে আমাদের দেশের বিভিন্ন রিসোর্ট, হোটেল-মোটেলের প্রতিনিধিরা এসেছেন। আমাদের ট্রাভেল এজেন্ট্ররাও এসেছেন। এটা অনেক বড় বিষয়। আমরা নির্ভর করি পর্যটন খাতের ওপর। গত বছর আমাদের জিডিপির ৭০ শতাংশই এসেছে পর্যটন খাত থেকে। জুলাই মাসে যত সংখ্যক পর্যটক আমাদের দেশে গিয়েছেন, তাতে  বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের পর্যটন মার্কেটে অনেক সম্ভাবনাময় জায়গা। এজন্য আমরা এই মেলায় অংশ নিয়েছি।

মালদ্বীপের মাফুশি দ্বীপে অবস্থিত আরিনা হোটেল। এই হোটেলের রিজার্ভেশন সুপারভাইজার জায়া বলেন, আমাদের কোম্পানির চারটি হোটেল রয়েছে। আমরা দিনের হিসেবে সেবা দিচ্ছি। রুম, খাবার ও স্পায় আমরা সাশ্রয়ীয় মূল্যে সেবা দিচ্ছি। আমরা মেলা উপলক্ষে বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। আমাদের ওয়েবসাইটে গেলেই বিশেষ ছাড় পাওয়া যাবে মেলা উপলক্ষে। আমদের দেশে ভ্রমণ করতে অন্যান্য দেশের চেয়ে খরচ কম হবে। কারণ আমরা আমাদের প্যাকেজগুলো সাশ্রয়ী করেই সাজিয়েছি।

এই মেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ আরও অংশ নিয়েছে চীন, ফিলিপাইন, শ্রীলংঙ্কা, ভিয়েতনাম, ভুটান, সিঙ্গাপুরের শতাধিক পর্যটন সংস্থা।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।