বান্দরবান: বান্দরবানে পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর থেকে বিধি নিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বান্দরবান পর্যটন ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে বান্দরবান প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
এসময় তারা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, আমরা বান্দরবানে হোটেল রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, পর্যটকবাহী যানবাহনসহ বিভিন্ন খাতে কোটি-কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি। বিগত ২০১৯ সাল থেকে করোনা ভাইরাস, ভয়াবহ বন্যা এবং কেএনএফের বিগত কিছুদিনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে লাগাতারভাবে বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের ভ্রমণে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
বিগত কয়েক মাস আগে সীমিত পরিসরে কিছু পর্যটন স্পট খুলে দেওয়া হলেও দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক পর্যটক আসতে পারেননি। ফলে এখানকার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলোতে ব্যাপক ধস নামে। এসব খাতে জড়িত হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হন মালিকরা।
এসময় তারা আরও বলেন, অনিবার্য কারণ দেখিয়ে চলতি মাসের ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলার সবগুলো পর্যটন স্পটে পর্যটকদের ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফলে আসন্ন দুর্গাপূজা ও প্রবারণার ছুটিতে প্রায় ৭০ শতাংশ হোটেল, রিসোর্ট বুকিং হওয়ার পরও বাতিল করতে হচ্ছে এবং প্রতি বছর শীতে বান্দরবানে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে, বান্দরবানবাসীর একমাত্র আয়ের উৎস পর্যটন খাত। এ খাতের ওপর এ অঞ্চলের সব সম্প্রদায়ের মানুষের অর্থনীতি নির্ভর করে।
পর্যটন নির্ভর এ জেলায় এভাবে বছরের পর বছর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা-বিধি নিষেধ আরোপ এবং ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করার ফলে এখানকার পর্যটন নির্ভর অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়ছে। এ অবস্থায় পর্যটন খাতের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন হোল্ডিং ট্যাক্স, লাইসেন্স ফি, ভ্যাট, আয়কর, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
তারা আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা ও পর্যটন সেক্টরে কর্মরত হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর আয়ের স্বার্থে এবং অর্থনীতি সচল রাখতে বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলো খুলে দিতে হবে।
এসময় বক্তব্য দেন বান্দরবান পর্যটন ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক মো. নাছিরুল আলম, সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম, সদস্য জসিম উদ্দিন, জাকিরসহ অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৪
এসআই