ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

ঘুরে আসুন ‘ট্রাইবাল ভিলেজ’ 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৪
ঘুরে আসুন ‘ট্রাইবাল ভিলেজ’ 

রাঙামাটি: কাপ্তাই হ্রদকে ঘিরে গড়ে উঠেছে রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলাটি। জেলা সদরের সঙ্গে নদী পথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হলো বোট (ইঞ্জিনচালিত নৌকা)।

তাই বিলাইছড়ির যেতে চাইলে বোট নৌকাই একমাত্র ভরসা।

নৌকায় করে ভ্রমণের সময় আপনাকে কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ জলরাশি মুগ্ধ করবে। বিলাইছড়ি উপজেলাটি চাকমা, মারমা এবং তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠী বসবাস করলেও পাংখোয়া জনগোষ্ঠীর জীবন-যাপন আপনার মনকে পুলকিত করবে। তাদের সংস্কৃতি আপনাকে রাঙিয়ে তুলবে চিত্র শিল্পীর ক্যানভাসে।
আর শিল্পীর আঁকা এমন ক্যানভাসের সৌন্দর্য রূপ দেখতে আপনাকে যেতে হবে বিলাইছড়ি উপজেলার পাংখোয়া পাড়ায়। এ পাড়ায় দেড় হাজার পাংখোয়া তাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য নিয়ে বসবাস করছে দীর্ঘ বছর ধরে।

ওই এলাকায় প্রবেশ করলে আপনাকে স্বাগত জানাবে ‘ট্রাইবাল ভিলেজ’। ভিলেজটিতে প্রবেশ করলে দেখতে পাবেন সংগ্রামী নারীরা তাদের ঐতিহ্যর পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বয়স এসব নারীদের সংগ্রামী জীবনকে হার মানাতে পারেনি। পাংখোয়া সম্প্রদায়ের নারীরা।  
ট্রাইবাল ভিলেজটি নদীর পাড়ে গড়ে ওঠায় প্রকৃতিকে দান করেছে আলাদা সৌন্দর্য। এখানে পাওয়া যায় পাংখোয়া সম্প্রদায়ের তৈরি গায়ের চাঁদর, মাফলার, মাথার হেডসহ নানা রকম পোশাক এবং তৈজসপত্র। সামর্থ্যানুযায়ী যে কেউ এসব পোশাক-পরিচ্ছেদ এবং তৈজসপত্র কিনে নিতে পারেন।

পাশাপাশি এখানে গড়ে তোলা হয়েছে দ্বিতল ভবনের একটি রেস্ট হাউস। ভবনের নিচতলাতে রয়েছে একটি মিলনায়তন। যেকোনো পর্যটক এখানে বেড়াতে এলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নির্দিষ্ট ভাড়া দিয়ে রেস্ট হাউজে থাকতে পারবেন।

রেস্ট হাউসে থেকে আপনি দুটি সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। একটি হলো, কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ জলরাশি অপরদিকে প্রকৃতির নৈসর্গিক পাহাড়ের সৌন্দর্য। এছাড়া পুরো এলাকায় ঘুরে দেখতে পাবেন কোনো নারী বসে সেই। সবাই কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত। বর্তমানে পাংখোয়া পাড়াটিতে পর্যটন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে।

এ গ্রামের পাংখোয়া পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও জুম কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দেখতে পাবেন নানা রকমের চোখ ধাঁধানো মাচাং ঘর। পাশাপাশি এই সম্প্রদায়ের কিশোরীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক-পরিচ্ছেদ পরিধান করে অনুষ্ঠানে এলে আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে তাদের রূপের সৌন্দর্য।  

এছাড়া পাংখোয়া পাড়ায় যাওয়ার সময় উপজেলার পুরো হ্রদ এলাকায় দেখতে পাবেন এই জনগোষ্ঠীর সংগ্রামী জীবন। সম্প্রদায়টি পুরুষতান্ত্রিক সমাজ হলেও নারীরাও পিছিয়ে নেই। নৌকা চালিয়ে বন থেকে লাকড়ি সংগ্রহ এবং যাত্রী পারাপার করে জীবিকা নির্বাহ করছে অনেক নারী। যদিও তাদের প্রধান পেশা জুম চাষ। পাশাপাশি বাঁশ, কাঠ বিক্রি করে অবদান রাখছে পরিবারে।  

দুদিন সময় বের করে নিজের শহর থেকে বাসে বা নিজেদের গাড়ি নিয়েও চলে যেতে পারেন ট্রাইবাল গ্রামের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৪
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।