ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

বরগুনার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হরিণঘাটা

জাহিদুল ইসলাম মেহেদী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২৪
বরগুনার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হরিণঘাটা

বরগুনা: বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলা থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এক অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান, হরিণঘাটা। দক্ষিণাঞ্চলের এই দর্শনীয় স্থানটি পর্যটকদের জন্য এক অনন্য আকর্ষণ, যেখানে প্রকৃতির মোহনীয় দৃশ্য উপভোগ করা যায়।

 

হরিণঘাটার প্রধান আকর্ষণ এর অকৃত্রিম বন। এই বনের মাঝখানে ছড়িয়ে আছে সবুজের সমারোহ, যা প্রকৃতিপ্রেমীদের মন কেড়ে নেয়। বনজ উদ্ভিদের পাশাপাশি হরেক রকমের বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে এখানে। বিশেষ করে হরিণের দলবেঁধে ছুটে চলা দৃশ্য প্রকৃতিপ্রেমীদের মুগ্ধ করে।



হরিণঘাটার সৌন্দর্যকে আরও আকর্ষণীয় করেছে লালদিয়া, পদ্মা, ও লাঠিমারা নামের সুবিশাল তিনটি সৈকত। এই সৈকতগুলোতে বালুকাময় তটরেখা এবং শান্ত সমুদ্রের ঢেউ পর্যটকদের মনে প্রশান্তির সঞ্চার করে। সাদা বালুর সৈকতে হেঁটে যাওয়া, সমুদ্রের ঢেউয়ে পা ভিজিয়ে রাখা, বা সূর্যের আলোয় স্নান করা- এসব অভিজ্ঞতা পর্যটকদের মনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে।

হরিণঘাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বন্যপ্রাণীর বৈচিত্র্য পর্যটকদের জন্য এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা এনে দেয়। এখানকার নৈসর্গিক দৃশ্য এবং পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করে। হরিণঘাটাকে দেশের চমৎকার পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা গেলে এটি পর্যটন শিল্পে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে।

যারা প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে চান, তাদের জন্য হরিণঘাটা একটি আদর্শ স্থান। প্রকৃতির নিবিড় সংস্পর্শে কিছু সময় কাটাতে চাইলে হরিণঘাটা হতে পারে আপনার পরবর্তী গন্তব্য।

মো. নাহিয়ান ফরাজী নামে এক পর্যটক বলেন, হরিণঘাটার সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। বনের সবুজ শোভা এবং হরিণের দলের ছুটে চলার দৃশ্য মনকে প্রশান্তি দেয়। লালদিয়া, পদ্মা, ও লাঠিমারা সৈকতগুলো এক কথায় অসাধারণ। এত সুন্দর আর প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটানোর অভিজ্ঞতা সত্যিই ভোলার নয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আউয়াল বাংলানিউজকে বলেন, আমি গর্বিত যে হরিণঘাটা আমাদের এলাকার একটি স্থান। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বন্যপ্রাণীর বৈচিত্র্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। অনেকেই এখানে এসে মুগ্ধ হয়েছেন এবং আমাদের এলাকার পরিচিতি বাড়িয়েছেন। উন্নয়নের মাধ্যমে হরিণঘাটা দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র হতে পারে।

শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, হরিণঘাটা একটি প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যের স্থান। প্রকৃতিপ্রেমী এবং গবেষকদের জন্য এটি একটি আদর্শ স্থান। সঠিকভাবে সংরক্ষণ এবং পর্যটন ব্যবস্থাপনা করা গেলে হরিণঘাটা হতে পারে দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র।

শিক্ষার্থী মো. ফারহান লাবিব জয় বলেন, হরিণঘাটায় এসে আমি প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়ার অভিজ্ঞতা পেয়েছি। সবুজ বনের মাঝে হাঁটা এবং হরিণের ছুটে চলা দেখা সত্যিই আনন্দদায়ক। লালদিয়া, পদ্মা, ও লাঠিমারা সৈকতগুলোতে সময় কাটানো মনোরম। আমি মনে করি, প্রকৃতি ও পর্যটন নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য হরিণঘাটা একটি আদর্শ স্থান।

পর্যটন সম্ভাবনা: হরিণঘাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বন্যপ্রাণীর বৈচিত্র্য এটিকে একটি চমৎকার পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও পর্যটন ব্যবস্থাপনা করা গেলে এটি দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটনকেন্দ্র হতে পারে। পর্যটন উন্নয়নের মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলা সম্ভব এবং হরিণঘাটার প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।