ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

কক্সবাজারের জন্য প্রয়োজন পর্যটনবান্ধব ডিসি!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৬
কক্সবাজারের জন্য প্রয়োজন পর্যটনবান্ধব ডিসি!

সম্প্রতি বাংলানিউজের প্রায় ২০ সদস্যের একটি রিপোর্টিং ও ফটোগ্রাফি টিম চষে বেড়িয়েছে কক্সবাজার জেলা। জেলার সমুদ্র সৈকতের উপজেলা টেকনাফ, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, অপার সৌন্দর্যের ছেঁড়াদ্বীপ ছাড়াও এই টিমের সদস্যরা দেখেছেন মেরিন ড্রাইভ, মহেশখালী, চকোরিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা।

সম্প্রতি বাংলানিউজের প্রায় ২০ সদস্যের একটি রিপোর্টিং ও ফটোগ্রাফি টিম চষে বেড়িয়েছে কক্সবাজার জেলা। জেলার সমুদ্র সৈকতের উপজেলা টেকনাফ, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, অপার সৌন্দর্যের ছেঁড়াদ্বীপ ছাড়াও এই টিমের সদস্যরা দেখেছেন মেরিন ড্রাইভ, মহেশখালী, চকোরিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা।

এখানে ওখানে ঘুরে ঘুরে তুলে এনেছেন এই পর্যটন জেলার সৌন্দর্য। কোথায় কোন সৌন্দর্য লুকায়িত রয়েছে তা যেমন উঠে এসেছে, তেমনি সামনে এসেছে কোথায় কী সম্ভাবনা রয়েছে। আর সম্ভাবনাগুলোর পাশাপাশি উঠে এসেছে সমস্যাগুলোও।  
 
আর সেক্ষেত্রে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে, তা হচ্ছে- কক্সবাজার মূলত ভুগছে একজন যোগ্য অভিভাবকেরই অভাবে।  
 
প্রকৃতি মুক্ত হাতে এখানে সৌন্দর্য বিলিয়েছে। সেই সৌন্দর্যই টেনে আনতে পারে পৃথিবীর এপ্রান্ত-ওপ্রান্তের পর্যটকদের। দেশের সব স্থানের মানুষও যেতে পারে এই সমুদ্রতীরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। কিন্তু সে জন্য কক্সবাজারকে প্রস্তুত করতে হবে। যে দায়িত্ব প্রাথমিকভাবে সরকারের ওপরই বর্তায়। একটি জেলার সর্বোচ্চ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কক্সবাজারে তার মূল ভার পড়ে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) ওপর।  

আর সে কারণেই কক্সবাজারে একজন পর্যটনবান্ধব জেলা প্রশাসক প্রয়োজন। এখানকার মানুষ, পর্যটক আর পর্যটন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে এই প্রয়োজনকেই চিহ্নিত করেছে বাংলানিউজ টিম।  
 
তারা বলেছেন, এমন একজন জেলা প্রশাসক এখানে প্রয়োজন যিনি পর্যটন কী সেটা বুঝবেন, কক্সবাজারের সৌন্দর্যকে উপলব্দি করতে পারবেন।  
 
কক্সবাজারকে কী করে অর্থনৈতিকভাবে আরও কার্যকর করে তোলা যায় তা নিয়ে চিন্তা থাকবে জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ এই কর্মকর্তার। আর এই স্থানটিকে পর্যটকদের বিচরণভূমি করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নিতে পারবেন তিনি।  
 
এখানে এমন একজন জেলা প্রশাসক প্রয়োজন, যিনি শুক্রবার-শনিবারকে নিজের ছুটির দিন ভেবে দিবানিদ্রায় মগ্ন থাকবেন না, কারণ ওই দু’টি দিনেই পর্যটক বেশি আসে।   
এখানে এমন একজন জেলা প্রশাসক প্রয়োজন, যিনি সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে জটিলতা বাড়িয়ে তোলার সিদ্ধান্ত না নিয়ে সুসমন্বয় করে কিভাবে কাজ করতে হয় সেটা বুঝবেন এবং করবেন।  
 
আর এখানে জেলা প্রশাসককেও হতে হবে হাসিমুখো একটি মানুষ। কেউ যেন তার উপস্থিতিতে আনন্দিত হতে পারে। তাকে দেখতে পেয়ে বুঝে নিতে পারে সঠিক ব্যক্তিটির কাছে পৌঁছে গেছি, এবার সমাধান হবে।  
 
দেশের প্রধানমন্ত্রী যেমন রাষ্ট্রীয় অতিথিদের হাসিমুখে স্বাগত জানান, তেমনই একজন জেলা প্রশাসক কক্সবাজারে থাকতে হবে, যিনি গোমড়ামুখো হয়ে অতিথিদের সামনে বসে থাকবেন না।  
 
কক্সবাজারে এমন একজন জেলা প্রশাসক থাকবেন যিনি হবেন সৎ ও কর্মঠ। কর্মঠ এই জন্য যে, তাকে ছুটতে হতে পারে জেলার যে কোনো স্থানে। আর সৎ এজন্য যে, তার অসাধুতার সুযোগ নিয়ে অবৈধ ব্যবসা ফেঁদে যেন কেউ কক্সবাজারকে কলুষিত করতে না পারে।  
 
কক্সবাজারকে পর্যটকবান্ধব করতে উদ্যোগগুলোর সমন্বয় করার জন্য জেলা প্রশাসককে শান্ত ও সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাবেরও হতে হবে।

কোনটায় ভালো কোনটায় মন্দ বুঝতে হবে সেটাও। আর সর্বোপরি তাকেই নিতে হবে কক্সবাজারের অভিভাবকের দায়িত্ব।  
 
কিন্তু কক্সবাজারের যিনি বর্তমান জেলা প্রশাসক, তার মধ্যে ওপরের সবগুলো গুণের অনুপস্থিতি আর যতগুলো অযোগ্যতা তার সবগুলোর উপস্থিতি দেখা গেছে। ফলে তাকে পাল্টাতেই হবে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
এইচএ/এমএমকে/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।