ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

খুলনা হবে শিল্প ও পর্যটন নগরী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৭
খুলনা হবে শিল্প ও পর্যটন নগরী বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া/ছবি: মানজারুল ইসলাম

খুলনা:  খুলনা একটি ঐতিহ্যবাহী বিভাগীয় শহর। এক সময় খুলনা ছিল শিল্পনগরী। কাছেই মংলা বন্দর। এছাড়া বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন রয়েছে এ বিভাগে। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর খুলনার সব জেলা। পদ্মা সেতু চালু হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। তখন খুলনা ফের ফিরে যাবে শিল্পনগরীতে। একইসঙ্গে হয়ে উঠবে পর্যটন নগরী। 

খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত  সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন নবনিযুক্ত বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া।  

খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের আগে তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

 
১৮ সেপ্টেম্বর তিনি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে যোগ দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শেষে ৮ম বিসিএস এর মাধ্যমে তিনি সরকারি চাকরি শুরু করেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলায়। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের বাবা।  

খুলনায় যোগ দেওয়ার পর কোন কাজটিকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সরকারের যেসব কর্মসূচি বা কার্যক্রম চলমান সেগুলো শতভাগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা করবো।  

তিনি বলেন, খুলনা বিভাগ দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে অন্যতম একটি বিভাগ।  খুলনা দেশের অন্যতম শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকা ছিল কোনো এক সময়। যে কারণে খুলনা শহরকে শিল্পনগরী হিসেবে ডাকা হতো। খুলনার পাশেই দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মংলা সমুদ্র বন্দর অবস্থিত। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে মংলা বন্দর গতিশীল হয়েছে। লেগেছে এ অঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া।  

বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া/ছবি: মানজারুল ইসলাম‘পৃথিবী বিখ্যাত উপকূলীয় বন সুন্দরবন খুলনা বিভাগের দক্ষিণাংশে অবস্থিত। বিভাগের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় সুন্দরবনের বিস্তৃতি। খুলনাকে সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার বলা হয়। স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হলে শিল্প উদ্যোক্তারা খুলনামুখী হবেন। খানজাহান আলী বিমানবন্দর চালু হলে দেশি-বিদেশি পর্যটকের সংখ্যাও বাড়বে। ’ 

খুলনাকে ভিক্ষুকমুক্ত করার কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাবেক খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ বিভাগের সব জেলা প্রশাসকসহ সুধী সমাজকে নিয়ে ভিক্ষুকমুক্ত কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। যেটি একটি মহৎ উদ্যোগ। সেই কর্মসূচির আলোকে প্রাথমিকভাবে খুলনাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিলো। আমি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সক্রিয় সহযোগিতায় চলমান খুলনা বিভাগে ভিক্ষুকমুক্ত কর্মসূচির পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে চাই।  

বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া ও প্রতিবেদক/ছবি: মানজারুল ইসলামতিনি আরও বলেন, আমাদের সমাজ অনেক এগিয়েছে। আমরা নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের থেকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছি। সে প্রেক্ষাপটে আমাদের সমাজে ভিক্ষুক থাকা সমীচীন নয়। সমাজে যে সব লোকেরা সম্পদশালী আছেন তারা যদি সহযোগিতার হাতটি বাড়িয়ে দেন তাহলে আমাদের যে সব জনগোষ্ঠী ভিক্ষা করেন তাদের অন্য পেশায় পুনর্বাসন করা সম্ভব হবে।  

ভিক্ষুককে ভিক্ষা না দিয়ে দানের টাকা ভিক্ষুক পুনর্বাসন ফান্ডে দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।  

কেমন খুলনা রেখে যেতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, খুলনায় সব ধরনের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ভবিষ্যতে খুলনা শিল্প ও পর্যটন নগরী হবে। তার কার্যক্রম চলছে। আমি চাই আমার সময় কালে সব কার্যক্রম জোরদার করতে। একটি সুখী সমৃদ্ধ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ খুলনাকে রেখে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৭
এমআরএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।