ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

রাঙামাটিতে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে অগ্রগতি নেই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
রাঙামাটিতে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে অগ্রগতি নেই ঝুলন্ত সেতু

রাঙামাটি: শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাঙামাটিতে পর্যটকদের আগমন বাড়লেও স্থানীয় পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

১৯৮৫ সালে নির্মিত রাঙামাটির সিম্বল খ্যাত ৩৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ঝুলন্ত সেতুটি দিয়ে কোনো রকমে চলছে জেলার পর্যটন ব্যবস্থাপনা। ঝুলন্ত সেতুটি কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বছরের অর্ধেক সময়ই তলিয়ে থাকে।

এতে করে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এছাড়া সেতুটি ডুবে থাকার কারণে যে পরিমাণ রাজস্ব আয় হয়, তা সেতু সংস্কার করতেই চলে যায়।

রাঙামাটিতে ভাল মানের কোনো হোটেল-রেস্তোরা নেই। এ অঞ্চলের বিশেষ খাবার বা পিঠা-পুলির দোকান খুঁজতে খুঁজতে পর্যটকরা হতাশ হন। তাও যেসব হোটেল রয়েছে তা গতানুগতিক। তবে কয়েকটি হোটেল ও পর্যটকদের দীর্ঘদিনের দাবিতে পাহাড়-হ্রদের মিতালী শহরে নির্ঝঞ্জাট পরিবেশে সময় কাটানোর জন্য একটি রিসোর্ট গড়ে তোলা হয়।

এদিকে কাপ্তাই হ্রদের মনোরম পরিবেশ ঘুরে দেখার জন্য ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন ইঞ্জিন চালিত বোট থাকলেও অত্যাধুনিক কোনো ওয়াটার বাইক না থাকায় অনেক পর্যটক নিরুৎসাহিত হয়। এছাড়া খালি পাহাড়গুলোতে ক্যাবল কারের ব্যবস্থা করার জন্য দীর্ঘদিনের দাবি পর্যটকদের।

জানা গেছে, বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের কোন্দল, এলাকা দখল করে প্রভাব বিস্তার, খুন, গুম, হত্যা ও চাঁদাবাজির কারণে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান এ অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছে। সরকার যদি তাদের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেয় তাহলে পর্যটক সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা এ জেলায় পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বিনিয়োগ করবে।

পর্যটকদের চলাচলে জেলা শহরে বিশেষ কোনো যানবাহনের ব্যবস্থা নেই।
সিএনজি চালিত অটোরিকশাই একমাত্র ভরসা। পর্যটকদের সঙ্গে এসব অটোরিকশা চালকেদের অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে পর্যটকরা জেলা শহরে বিকল্প যানবাহনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী আসাদ বাংলানিউজকে বলেন, সময় পেলেই রাঙামাটিতে ঘুরতে আসি। কিন্তু এখানে স্থানীয় সমৃদ্ধ খাবার হোটেল, প্রাকৃতিক পরিবেশে রিসোর্ট এবং ভালো পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকরা দিন দিন নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।

চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, হ্রদ এবং পাহাড়কে পরিকল্পনা অনুযায়ী সাজানো হলে এ জেলা পর্যটন খাতে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করবে।

রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। আশা করি ভূমি ধসের পর পর্যটন কর্পোরেশন যে পরিমাণ  রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠবে।

সেতু সংস্কারের বিষয়ে এ ব্যবস্থাপক বলেন, আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করছি।

রাঙামাটি হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দীন সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, পর্যটকরা রাঙামাটিতে আসলে প্রথমে প্রাকৃতিক পরিবেশে রাত্রী যাপনের জন্য রিসোর্ট খুঁজেন। এ জেলায় পর্যটকদের জন্য রিসোর্টের চাহিদা থাকলেও সরকারের যথাযথ সহযোগিতা না পাওয়ায় ব্যক্তি উদ্যোগে রিসোর্ট গড়ে তোলা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১,, ২০১৮
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।