ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

নীলাচল-নীলগিরি ছাপিয়ে তৈরি হচ্ছে নীল দিগন্ত

শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮
নীলাচল-নীলগিরি ছাপিয়ে তৈরি হচ্ছে নীল দিগন্ত বান্দরবানের নতুন পর্যটন কেন্দ্র নীল দিগন্ত। ছবি: আসিফ আজিজ

বান্দরবান থেকে: মাটিতে দাঁড়িয়ে মেঘ স্পর্শ করার ভাবনা নিয়ে পর্যটন নগরী বান্দরবানে নির্মিত হচ্ছে ‘নীল দিগন্ত’। যারা নীলাচল-নীলগিরি দেখেছেন তাদের আকর্ষণের আরেক গন্তব্য হিসেবে সাজানো হচ্ছে নতুন এই পর্যটন কেন্দ্র।

অনিন্দ্যসুন্দর নীল দিগন্ত থেকে মেঘের স্পর্শ পাওয়া যাবে অনায়াসে। পর্যটন কেন্দ্রটির চারদিকে উঁচু-নিচু পাহাড় ঘেরা।

ঠিক যেন দার্জিলিং! প্যাঁচানো সর্পিল রাস্তা দিয়ে পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ।

বান্দরবান শহর থেকে থানচি যাওয়ার পথে ৫২ কিমি দূরে এবং নীলগিরি থেকে মাত্র ৬ কিমি গেলেই চোখে পড়বে অপূর্ব সুন্দর এই পাহাড় ভিউ।
বান্দরবানের নতুন পর্যটন কেন্দ্র নীল দিগন্ত।  ছবি: আসিফ আজিজ
খুব কাছ থেকে মেঘ-পাহাড় দেখবার সুযোগ থাকায় এখানকার একটি চত্বরের নামও দেয়া হয়েছে মেঘ-পাহাড় চত্বর। যে চত্বরে দাঁড়ালে শরীর ছুঁয়ে যাবে সাদা মেঘ। আর এতে নিমিষেই ভিজে যাবে পর্যটকের শরীর।

সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৭০০ ফুট উঁচুতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধরে রেখে সাজানো হচ্ছে নীল দিগন্তকে। বান্দরবান জেলা প্রশাসনের হাত ধরেই পর্যটন কেন্দ্রটির কাজ শুরু হয়েছে। ভাবনায় আছে নীলাচল, নীলগিরি থেকে ভিন্ন কিছু উপহার দেওয়ার। সেই লক্ষ্যে কাজও চলছে।

নীলাচল, নীলগিরির সৌন্দর্যের চেয়ে ভিন্ন আমেজ পাওয়া  যাবে কেননা এখানে বড় বড় পাহাড়গুলো হাতের খুব কাছেই!
বান্দরবানের নতুন পর্যটন কেন্দ্র নীল দিগন্ত।  ছবি: আসিফ আজিজনীল দিগন্ত প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত। তবে জনপ্রতি প্রবেশ মূল্য গুণতে হবে ১০ টাকা। বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও থানচি উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা ও অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে নীল দিগন্ত।  

নীল দিগন্তের পরিকল্পনার কথা বাংলানিউজকে জানালেন, বান্দরবানের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আলী নূর খান।  তিনি বলেন, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে দৃষ্টিনন্দন কটেজ নির্মাণ করা হবে। থাকবে অত্যাধুনিক ক্যাফে। এছাড়া দর্শনার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত টয়লেট স্থাপন করা হবে।
বান্দরবানের নতুন পর্যটন কেন্দ্র নীল দিগন্ত।  ছবি: আসিফ আজিজনীল দিগন্তের ব্যবস্থাপনা কর্মী মেনকুং ম্রোং এবং তনয় ম্রোং বাংলানিউজকে বলেন, এই স্পটের কাজ শেষ হলে এটিই হবে বান্দরবান জেলার সবচেয়ে দর্শনীয় ট্যুরিস্ট স্পট।

এরইমধ্যে একটি ভিউ পয়েন্ট নির্মাণ করা হয়েছে আরো কয়েকটি ভিউ পয়েন্ট হবে। এসব ভিউ পয়েন্ট থেকে পুরো থানচি উপজেলার চিত্র দেখা যাবে। ২০১৮-২০১৯ সালের মধ্যে পুরো কাজ শেষ করে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।