ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

‘বৈশাখে পর্যটকের এভাবে ছুটে আসা দেখিনি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৮
‘বৈশাখে পর্যটকের এভাবে ছুটে আসা দেখিনি’ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে এরইমধ্যে পর্যটকদের ঢল নেমেছে/ছবি- বাংলানিউজ

কক্সবাজার: দাবদাহে পুড়ছে দেশের অধিকাংশ অঞ্চল। সেই তুলনায় সমুদ্র শহর কক্সবাজারের আবহাওয়া চমৎকার। আকাশে সূর্যের তেজ থাকলেও প্রশান্তি বুলিয়ে দিচ্ছে বাতাস। তাই গ্রীষ্মের হাঁসফাঁসকে পাশ কাটিয়ে উত্তাল ঢেউয়ের তালে গা ভাসাতে  অনেকেই ছুটে এসেছেন কক্সবাজারে। তাতে এরইমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে শহরের চার শতাধিক হোটেল কক্ষের ৬০ শতাংশ।

টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড় হবে, এমনটাই দাবি করেছেন কক্সবাজার হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার।

একই সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর সুলতান কোম্পানি নাগু বলেন, হোটেল ব্যবসা করছি অনেক বছর হয়।

বৈশাখে এভাবে পর্যটকের ছুটে আসা কখনো দেখিনি। এরইমধ্যে বেশিরভাগ হোটেলের ৬০ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে। রাতের মধ্যেই সেটি ৮০ ভাগের কাছাকাছি যাবে। আশা করছি শনিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার মধ্যে শতভাগ হোটেল বুকিং হয়ে যাবে।

পাহাড়, সাগর আর আকাশের মিতালী দেখতে সপরিবার ও সবান্ধবে দেশের আনাচে-কানাচে থাকা লোকজনদের আমন্ত্রণ জানিয়ে হোটেল বে ভিস্তার স্বতাধিকারী আবু তাহের বলেন, কক্সবাজারে বেশিরভাগ সময়ই পর্যটকদের ভিড় হয় শীতকালে। তখনকার সমুদ্র আর আবহাওয়ার সঙ্গে গ্রীষ্মের সমুদ্রের অনেক তফাৎ রয়েছে। শীতের তুলনায় গ্রীষ্মের সমুদ্রের ঢেউ আরো মনোহরী। রাতের সমুদ্রের গর্জন শুনতে চাইলে গ্রীষ্মের কক্সবাজারই বেস্ট।
বাবার সঙ্গে খেলার মেতেছে শিশু সন্তানটি
সূত্র জানায়, আগামী সপ্তাহে টানা ছুটির সুযোগে ভ্রমণপিপাসু লোকজন দলবেঁধে কক্সবাজারে বেড়াতে আসবেন। ফলে পর্যটন নগরী কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নামবে পর্যটকের ঢল। এরইমধ্যে সাগরপাড়ের সব আবাসিক হোটেল ও রেস্ট হাউসের ৬০ ভাগ বুকিং হয়ে গেছে। আর পর্যটকের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশের পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট ক্লাবের পরিচালক কলিম উল্লাহ বলেন, পর্যটক আসার ধরণ দেখে মনে হচ্ছে ধীরে ধীরে জমে উঠবে সমুদ্রসৈকত।

কক্সবাজার কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি কাজী রাসেল আহমদ বলেন, সমিতির আওতাভুক্ত ১১৭টি কটেজ রয়েছে। কম দামে কক্ষ পাওয়া যায় বলে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন কটেজে ওঠেন বেশি। আশা করছি এই বন্ধে সব রুম বুকিং হয়ে যাবে।

কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন-টোয়াক বাংলাদেশের  সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিল্কী বলেন, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ছাড়াও সোনাদিয়া, হিমছড়ি, দরিয়ানগর, ইনানী, সাফারি পার্ক, রামুর ১০০ ফুট শয্যা বৌদ্ধ মূর্তি, মেধাকচ্ছপিয়া ন্যাশনাল পার্ক ও মহেশখালীর আদিনাথে পর্যটকদের ঢল নামবে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বলেন, ভ্রমণে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। সৈকতের বালুচরে অত্যাধুনিক মোটরযানে টহলে থাকবেন ট্যুরিস্ট পুলিশ। এছাড়া কক্সবাজার সৈকতে নিয়ন্ত্রণকক্ষ খুলে পর্যটকদের রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা বিধান করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

কক্সবাজার শহরের বিনোদন কেন্দ্র, বার্মিজ মার্কেট ও হোটেল মোটেল জোনে পুলিশের বাড়তি নজরদারি থাকবে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, পর্যটক হয়রানিরোধ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নজরদারি থাকবে। এছাড়া আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁয় অতিরিক্ত বিল ও ভেজাল খাবারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৮
টিটি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।