ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

পর্যটকে মুখরিত হ্রদ-পাহাড়ের শহর রাঙামাটি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৮
পর্যটকে মুখরিত হ্রদ-পাহাড়ের শহর রাঙামাটি  ঝুলন্ত সেতুতে পর্যটকের ভিড়/ছবি: বাংলানিউজ

রাঙামাটি: সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি মিলিয়ে টানা ছুটি পেয়ে বৈশাখের তীব্র গরম কিংবা কাল বৈশাখীর খড়গ মাথায় নিয়েও হ্রদ-পাহাড়ের শহর রাঙামাটিতে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। 

পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো শহর। খাবার হোটেল থেকে শুরু করে আবাসিক হোটেল, রেস্টহাউস ও বোডিংগুলো এখন ব্যস্ত সময় পাড় করছে।

 

আবাসিক হোটেলগুলো আগেই বুকিং হয়ে যাওয়ায় অনেক পর্যটক অগ্রীম বুকিং না দিয়ে রাঙামাটিতে এসে চরম বিপাকে পড়েছেন।  

রাঙামাটির পর্যটন স্পটগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- রাঙামাটির সিম্বল খ্যাত ঝুলন্ত সেতু, রাঙামাটি ৩০৫ পদাতিক ডিভিশনের অধীন আরণ্যক রিসোর্ট, পুলিশ পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য এলাকা, সুবলং ঝর্ণা, টুকটুক ইকো ভিলেজ এলাকাগুলোতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লেগে আছে।  
এদিকে, জমজমাট ব্যবসা করছে খাবারের হোটেলগুলো।

সুবলং ঝর্ণাঢাকা থেকে বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী সামসুল কাদেরী জানান, ব্যবসার কাজে সময় পাই না, তাই কয়েকদিন বন্ধ পেয়ে বউ-বাচ্চা নিয়ে পাহাড়- হ্রদের শহরে ঘুরতে এসেছি।

সিরাজগঞ্জ থেকে আসা মো. মানজুরুল আলম শেখ জানান, রাঙামাটিতে পাঁচদিনের ট্যুরে এসেছি। গত দু’দিন ঝুলন্ত সেতু, বৌদ্ধ মন্দির, রাজবাড়ি এবং কাপ্তাই হ্রদে ঘুরেছি।

বগুড়া থেকে বেড়াতে আসা রিতু জাহান জানান, শহরের কোলাহল থেকে কিছুটা রেহাই পেতে তিনদিনের ছুটিতে স্বামীকে নিয়ে রাঙামাটিতে বেড়াতে এসেছি। খুব ভাল লাগছে হ্রদ পাহাড়ের শহরে।  

এদিকে ঝুলন্ত সেতুটিকে আশ্রয় করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের কিছু নারী জীবিকা নির্বাহের তাগিদে স্থানীয়দের হাতে তৈরি বিভিন্ন  ডিজাইনের ব্যাগ এবং আচারের পসরা সাজিয়ে জমজমাট ব্যবসা করছেন।

বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা হাতে তৈরি সামগ্রীএদের মধ্যে মিতালী চাকমা বলেন, আমি গত কয়েকদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করেছি। বেচাকেনা খুব ভাল হয়েছে।  

স্থানীয়দের হাতে তৈরি চোখ ধাঁধানো বিভিন্ন ডিজাইনের ব্যাগ ডিজাইন ভেদে বড়গুলো ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা এবং ছোটগুলো ২৫০শ’ থেকে ৩শ’ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

আরেক বিক্রেতা রত্না চাকমা বলেন, পরিবারের উপর নির্ভর না করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে স্বাধীনভাবে নিজে ব্যবসা করছি। প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করছি।  

রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের নির্বাহী কর্মকার্তা সূর্যসেন ত্রিপুরা জানান, টানা ছুটির কারণে পর্যটকরা ক্লান্তি দূর করতে রাঙামাটিতে ছুটে এসেছেন। প্রতিদিন ১৫শ’ থেকে ২ হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটছে পর্যটন কমপ্লেক্সে। বেচা-বিক্রি ভাল হচ্ছে বলে জানান তিনি।  

কমপ্লেক্সের নির্বাহী কর্মকর্তা আরও জানান, পহেলা মে পর্যন্ত কটেজের সবকয়টি রুম অগ্রিম বুকিং রয়েছে। এর পরের কয়েকদিনও ৫০ ভাগ বুকিং রয়েছে।  

সূর্যসেন ত্রিপুরা বলেন, ভূমি ধসের কারণে পর্যটন কমপ্লেক্সের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সংস্কারসহ নানা সমস্যা দূরীকরণে ঊর্ধ্বতন মহলকে অবগত করা হয়েছে।

হোটেল প্রিন্স’র স্বত্তাধিকারী নেছার আহম্মেদ বলেন, আমার হোটেলের সবকয়টি রুম পহেলা মে পর্যন্ত বুকিং এবং মে মাসের ৮-১০ তারিখ পর্যন্ত ৬০ ভাগ বুকিং রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়:  ০৬০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।