ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

প্রাণের স্পন্দনে মুখরিত সাগরকন্যা কুয়াকাটা

মুশফিক সৌরভ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৮ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৮
প্রাণের স্পন্দনে মুখরিত সাগরকন্যা কুয়াকাটা মুখরিত সাগরকন্যা কুয়াকাটা। ছবি: বাংলানিউজ

পটুয়াখালী: পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়কাটা। সেইসঙ্গে বাড়ি ফেরা মানুষ ও স্থানীয়দেরও কমতি নেই পর্যটন স্পটগুলোতে।

শুধু পর্যটন মৌসুম নয়, এখন সারা বছরই পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকছে কুয়কাটা। বিভিন্ন উৎসব এবং ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের এ উপস্থিতি যায় আরও বেড়ে।

বর্তমানে পর্যটকদের ভিড়ে কুয়াকাটার পর্যটন শিল্প যেনো ফিরে পেয়েছে নতুন করে প্রাণচাঞ্চলতা, বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।

সমুদ্রস্নান, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পাশাপাশি ফাতরার বন, বাউলি বন, লেবুর বন, চর গঙ্গামতি, বৌদ্ধ মন্দিরসহ বিভিন্ন দর্শনীয় ভ্রমণে মুগ্ধ হচ্ছেন পর্যটকরা।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, ঈদের এই ছুটিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভ্রমণপিপাসু নানা বয়সের হাজার মানুষ সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটার নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছেন। কেউ নিজে, কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে, কেউ বা নিজের পছন্দের মানুষটিকে নিয়ে দেখতে এসেছেন।

এদিকে, অধিকাংশ হোটেল রুম আগাম বুকিং হয়ে যাওয়ায় সদ্য কুয়াকাটা ভ্রমণে আসা পর্যটকদের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে তারপরও কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সব দুঃখ ভুলিয়ে দেয় বলে মনে হয়।

ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়ে কুয়াকাটার খাবার হোটেলসহ রাখাইন মার্কেট, ঝিনুক শপ, চটপটি, ফুচকা, ভুট্টা, বাদাম বিক্রির ভাসমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও চলছে কেনাকাটার ধুম।

কুয়াকাটার জাতীয় উদ্যান, ইলিশ পার্ক, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, সীমা বৌদ্ধ বিহার, সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চল খ্যাত ফাতরার বনাঞ্চল, ফকির হাট, গঙ্গামতি, কাউয়ার চর, লেম্বুর চর, শুঁটকি পল্লী ও কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট এখন শিশু-কিশোর-তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সী পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত। মুখরিত সাগরকন্যা কুয়াকাটা।  ছবি: বাংলানিউজবরিশাল থেকে ভ্রমণে আসা বেলায়েত বাবলু বাংলানিউজকে বলেন, সৈকতে রাতের সমুদ্র ও তার বিক্ষুব্ধ গর্জন অসাধারণ লেগেছে। কুয়াকাটার দর্শনীয় স্পটগুলোর অপরূপ দৃশ্য সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘুরে দেখেছি। তবে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে ছেলেমেয়েরা হোটেলে একটু অস্বস্তি বোধ করছেন।

কলেজছাত্র শাওন বাংলানিউজকে বলেন, কলাপাড়া সদর থেকে কুয়াকাটায় পাখিমারা থেকে মহিপুর পর্যন্ত সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। তবে কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের সব কষ্ট ঘুচিয়ে দিয়েছে।

ঢাকা থেকে পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে আসা ইয়াসিন বাংলানিউজকে বলেন, কুয়াকাটার ভাঙনরক্ষায় সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি’র সভাপতি শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে। ঈদের পরদিন থেকে কুয়াকাটায় আগাম বুকিং অনুযায়ী পর্যটক রয়েছে।

কুয়াকাটা ইলিশ পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুমান ইমতিয়াজ তুষার বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। আমরাও চেষ্টা করছি পর্যটকদের নিরাপত্তাসহ বিনোদন নিশ্চিত করতে।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সৈকতে পর্যটকদের নির্বিঘ্নে চলাফেরা এবং যেনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেদিকে সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে।  
এছাড়া পর্যটকের নিরাপত্তায় কুয়াকাটার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

বাংলা‌দেশ সময়: ২১০৫ ঘন্টা, জুন ১৮, ২০১৮
এমএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।