ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

খাগড়াছড়িতে পর্যটকের ভাটা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৮
খাগড়াছড়িতে পর্যটকের ভাটা খাগড়াছড়িতে পর্যটক কম। ছবি: বাংলানিউজ

খাগড়াছড়ি: খাড়াছড়িতে সারাবছর পাহাড়ে পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে। বিশেষ কোনো দিন বলেতো কথায় নেই। একমাস আগ থেকেই হোটেল-মোটেলগুলোতে সব সিট বুকিং হয়ে যায়। এবারও ভিন্ন চিত্র পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে।

পর্যটকদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। যা আছে তা স্বাভাবিক বন্ধের দিনের চেয়েও কম।

আর উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ হিসেবে গত ১৮ আগস্ট ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর ছয় হত্যাকাণ্ড বলে জানান হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়রা।

এর আগে গত ঈদুল ফিতরে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ছয় হত্যাকাণ্ড এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে খাগড়াছড়িতে তেমন পর্যটক ছিল না।

এদিকে পর্যটন স্পট আলুটিলা ও হর্টিকালচার পার্কে গিয়ে দেখা যায় স্পটগুলোতে স্থানীয় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বেশি। কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে, কেউবার বন্ধু-বান্ধবী নিয়ে ঘুরতে এসেছেন।

অন্যদিকে রাঙামাটির ভূ-স্বর্গ নামে পরিচিত সাজেকও এবার পর্যটক টানতে পারেনি। বাইরে থেকে প্রত্যাশিত পর্যটক না আসায় হতাশ ব্যবসায়ীরা। খাগড়াছড়িতে পর্যটক কম।  ছবি: বাংলানিউজখাগড়াছড়ি গাইরিং হোটেলের ব্যবস্থাপক মো. নয়ন খান ও হোটেল অরণ্য বিলাশের ব্যবস্থাপক মো. আব্দুর রশিদ সাগর বাংলানিউজকে জানান, একমাস আগে থেকে হোটেলের শতভাগ বুকিং ছিল। কিন্তু ছয় হত্যাকাণ্ডের পর ভয়ে পর্যটকরা খাগড়াছড়িতে আসতে চাচ্ছে না। এক এক করে বুকিং বাতিল হতে শুরু করে। এখন ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বুকিও রয়েছে।

খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ব্যবস্থাপক মো. ইদ্রিস তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, গত রোজার ঈদেও হত্যাকাণ্ড এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে পর্যটক আসেনি। এবারও একই চিত্র। ব্যবসায়িকভাবে আমরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ছি। এভাবে চলতে থাকলে পর্যটকরা খাগড়াছড়িবিমুখ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পর্যটক না আসায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

তারা জানাচ্ছেন, খাগড়াছড়িতে পর্যটকমুখী করতে হলে প্রশাসনকে আইন-শৃঙ্খলার প্রতি নজর দিতে হবে। তবে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে বিশেষ নজরদারির কথা বলছেন প্রশাসন।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হবে না। আবাসন থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে আমাদের বাড়তি নজরদারি রয়েছে। যাতে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরতে পারে। পর্যটনবিমুখ যাতে না হয় সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট থাকব।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলী আহম্মেদ খান বাংলানিউজকে জানান, আমরা পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে প্রত্যেক স্পট, গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়িয়েছি। পর্যটকরা নিরাপদে সবখানে ভ্রমণ করতে পারবে বলেও জানান তিনি। স্থানীয়দের প্রত্যাশা পাহাড়ে আবার পর্যটকদের আগমনে মুখরিত হবে এবং পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় প্রশাসন সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৮
এডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।