ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

চা শিল্প বিকাশে সমন্বয় ও মহাপরিকল্পনা জরুরি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
চা শিল্প বিকাশে সমন্বয় ও মহাপরিকল্পনা জরুরি ‘বাংলাদেশের চা শিল্পের সম্ভাবনা’- শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত অতিথিরা/ছবি- ডি এইচ বাদল

ঢাকা: দেশের চা শিল্পে অর্থনৈতিক ও কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। তবে এটি নির্ভর করছে এই শিল্পের আধুনিকায়নের ওপর। এই শিল্পে সমন্বয় ও মহাপরিকল্পনা জরুরি হয়ে পড়েছে।

শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ কনফারেন্স রুমে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন।

‘বাংলাদেশের চা শিল্পের সম্ভাবনা’- শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে দৈনিক কালের কণ্ঠ ও ওরিয়ন গ্রুপ।

 এতে বক্তব্য রাখেন দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, জাতীয় সংসদের সদস্য আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া, ওরিয়ন টি কোম্পানির হেড অব অপারেশন ইব্রাহীম খলীল, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ইয়াসমিন সুলতানা, ন্যাশনাল টি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল আউয়াল মজুমদার প্রমুখ।

গোলটেবিল বৈঠকে কালের কণ্ঠের সম্পাদক বলেন, চা আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। প্রতিদিন অনেকেই চা ছাড়া চলতে পারেন না। সে কারণে চা শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। এই শিল্প বিকাশে সমন্বয় ও মহাপরিকল্পনা জরুরি। তাই এই শিল্পে আরো অগ্রগতি সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।

জাতীয় সংসদের সদস্য আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া বলেন, চা শ্রমিকদের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রয়েছে। তবে সেই অবদান এখনো গণমাধ্যমের সামনে উঠে আসেনি। তিনি বলেন, চা বাগান শ্রমিকদের বিষয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।  

ওরিয়ন টি কোম্পানির হেড অব অপারেশন ইব্রাহীম খলীল বলেন, বাংলাদেশে চা শিল্পের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা সেই সম্ভাবনাকে  কাজে লাগাতে চাই। তবে নানা কারণে এই শিল্পের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি চা শিল্প বিকাশে ট্যারিফ ব্যালেন্সিংয়ের সুপারিশ করেন।  

শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ চা বাগান অনেক পুরনো। এই চা বাগানকে আরো আধুনিকায়ন করতে হবে। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোয়ালিটি সম্পন্ন চা উৎপাদনে তিনি জোর দেন।  

গোলটেবিল বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা কামাল, ইস্পাহানি টি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার ওমর হান্নান, কাজী অ্যান্ড কাজী টি’র প্রধান নির্বাহী সৈয়দ শোয়েব আহমদ, টি প্ল্যান্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. এ কে আবদুল মোমেন, চা গবেষক পাভেল পার্থ, মুক্ত চা শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ বুনার্জী, চা বিশেষজ্ঞ অর্ধেন্দু কুমার দেব, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরি, চা-ছাত্র যুব পরিষদের নেতা সজল কৈরি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮ 
টিআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।