ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

শ্রীহীন লাউয়াছড়ার পর্যটকছাউনি

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২০
শ্রীহীন লাউয়াছড়ার পর্যটকছাউনি শ্রীহীন লাউয়াছড়ার পর্যটকছাউনি। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পর্যটকছাউনিগুলো শ্রীহীন হয়ে পড়েছে। যদিও নতুন, তারপরও শ্রীহীন।

দর্শনার্থীদের বিভিন্ন ধরনের কালির ব্যবহার, ভুল বর্ণমালার অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার আর কতিপয় অশোভন উক্তিতে ছাউনিগুলোকে সৌন্দর্যহীন করে তুলেছে। এ উদ্যানের বিভিন্ন ফুটট্রেইল (পায়ে চলার পথ) এর পাশে ক্লান্ত পর্যটকদের জন্য স্থাপিত এ ছাউনির অবস্থা বড়ই করুণ। দেখলে মনে হয় রুচিবোধ উবে গেছে। সেখানে বসার ইচ্ছে হয় না।  

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকারের ‘সাধারণ ছুটি’ ঘোষণার পর দেশের অন্যান্য জাতীয় উদ্যানের মতো লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানও বন্ধ করে দেওয়া হয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। এখন কয়েক মাস ধরে লাউয়াছড়ায় পুরোপুরিভাবে বন্ধ রয়েছে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা। ফলে চিরসবুজ বনের প্রকৃতি তার সৌন্দর্য ফিরে পেয়েছে। অপরদিকে এসব কৃত্রিম ছাউনিগুলোতে রুচিহীন মানুষের অশোভন উক্তি লেখার কারণে এর সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।

প্রায় প্রতিটি পর্যটকছাউনিতে অপ্রয়োজনীয় লেখায় ভরা। আধ ঘণ্টার ফুটট্রেইলের পাশে পর্যটকছাউনিতে লাল কালিতে লেখা রয়েছে Z+U, কিংবা Mumu + Rokon। আরও লেখা রয়েছে-কবি বিবেক আলম, শাহ আলম ২৮/৯/২০১৯ প্রভৃতি।
শ্রীহীন লাউয়াছড়ার পর্যটকছাউনি।  ছবি: বাংলানিউজ
সূত্র জানায়, লাউয়াছড়ার সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির (সিএমসি) অর্থায়নে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে দৃষ্টিনন্দন এ পর্যটকছাউনিগুলো নির্মাণ করা হয়। প্রাকৃতিক বুনো মাসরুম (আঞ্চলিক ভাষায় একে ব্যাঙের ছাতা বলে) আদলে এগুলো নির্মিত হয়েছিল। অনেক পর্যটক বন পরিভ্রমণকালে ক্লান্ত হয়ে এখানে বসে বিশ্রাম নেন এবং আলোকচিত্র ধারণ করেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এখন আমাদের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান পর্যটকদের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ফুটট্রেইলের পাশে নির্মিত পর্যটকছাউনিগুলো আমরা রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেবো।  
পরবর্তীতে লাউয়াছড়া খুলে দিলে পর্যটকরা এখানে নতুন পর্যটকছাউনি দেখতে পেয়ে আনন্দিত হবেন বলে আশাবাদী সিলেট বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের ওই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২০
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।