ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

সৈকতজুড়ে ফের নজিরবিহীন নির্জনতা

সুনীল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২১
সৈকতজুড়ে ফের নজিরবিহীন নির্জনতা

কক্সবাজার: সমুদ্রসৈকতে সেই প্রাণের কোলাহল আর নেই। সব বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণার পর পাল্টে গেছে সৈকতের চেহারা।

বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতজুড়ে আবারও ভর করেছে সেই নজিরবিহীন নির্জনতা।  

যেখানে দিন-রাত হাজারো পর্যটকে মুখরিত থাকতো, সেখানে এখন সুনসান নীরবতা। পর্যটকশূন্য সমুদ্রসৈকত। যে দৃশ্য দেখা মিলেছিল গত বছর করোনা মহামারি শুরুর সময়ে।
 
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে কক্সবাজার সৈকতসহ সব বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। যে কারণে শুক্রবার সকাল থেকে কোনো পর্যটক নামতে না দেওয়া হচ্ছে না সৈকতে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা, লাবনী, ডায়বেটিক পয়েন্টসহ সব প্রবেশদ্বার।
 
শুক্রবার (২ এপ্রিল) দুপুরে সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে দেখা যায়, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সেখানে ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিচকর্মী ও লাইফগার্ড কর্মীরা কাজ করছেন। তারা কোনো পর্যটককে সৈকতে নামতে দিচ্ছেন না। এ অবস্থায় বন্ধের ঘোষণা জানা না থাকায় অনেক পর্যটক বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন।
 
বিচকর্মী সৈয়দ নুর বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার সকাল থেকে তারা কোনো পর্যটককে সৈকতে নামতে দিচ্ছেন না।  
 
তিনি জানান, পর্যটনকেন্দ্র বন্ধের ঘোষণা অনেক পর্যটক জানেন না। যে  কারণে অনেকেই সৈকতে চলে আসছেন। তাদের বুঝিয়ে তুলে দেওয়া হচ্ছে।  
 
সৈকতের সুগন্ধা, লাবনীসহ অন্য পয়েন্টে একই অবস্থা বিরাজ করছে জানিয়ে সৈয়দ নুর বলেন, প্রথমদিন এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে হিমশিম খেতে হচ্ছে।  
 
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিল্লুর  রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আপাতত সমস্যা হলেও পর্যটকদের এ নির্দেশনা মানতে হবে।
 
করোনা পরিস্থিতি আবার ভয়াবহতার দিকে চলে গেছে। এ সময়ে নিয়ন্ত্রণ করা না হলে মহামারি ভয়াবহ হবে।
 
জেলা প্রশাসনের বন্ধের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। কোনোভাবে কাউকে সৈকতে নামতে দেওয়া হবে না।
 
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, করোনা সংক্রমণ আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে। গত কয়েকদিনে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
 
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ঝুঁকিতে থাকা কক্সবাজারের করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হার ছিল দৈনিক তিন–চারজন। এখন লোকসমাগম বেড়ে যাওয়ায় সংক্রমণের হারও বেড়েছে। এখন দৈনিক ৩০-৪৫ জন শনাক্ত হচ্ছেন।
 
 সংক্রমণ রোধে আপাতত দুই সপ্তাহের জন্য পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্বান্ত নেওয়া হবে।

তবে হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২১
এসবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।