ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

সৈকতে পর্যটক হয়রানি বন্ধে ফটোগ্রাফারদের জন্য টুরিস্ট পুলিশের ১৪ নির্দেশনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
সৈকতে পর্যটক হয়রানি বন্ধে ফটোগ্রাফারদের জন্য টুরিস্ট পুলিশের ১৪ নির্দেশনা

কক্সবাজার: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ফটোগ্রাফারদের দৌরাত্ম্য  বন্ধে কঠোর হচ্ছে টুরিস্ট পুলিশ। পর্যটক হয়রানি বন্ধে সৈকতের ফটোগ্রাফারদের জন্য ১৪ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

এসব নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম।

তিনি জানান, পর্যটক হয়রানির অভিযোগে রোববার (১৭ জুলাই) টুরিস্ট পুলিশের হাতে আটক মো. ইউনুস (২৪) নামে এক ভ্রাম্যমাণ ফটোগ্রাফারকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে দুইদিনের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান।

কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বাংলানিউজকে আরও জানান, সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের ছবি তোলা নিয়ে প্রায়ই ফটোগ্রাফারদের সঙ্গে তর্কাতর্কি কিংবা হয়রানির শিকার হন। বিষয়টি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি।

পর্যটক হয়রানি বন্ধে সৈকতে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি বিশেষ করে ফটোগ্রাফারদের হয়রানির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এসব বিষয়ে ফটোগ্রাফাররাও যেন সতর্ক হন,সেজন্য
সোমবার (১৮ জুলাই) ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন কার্যালয়ে  বিচে কর্মরত ফটোগ্রাফারদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করা হয়। এ সভায় ১৪টি বিষয়ে তাদের সতর্ক করে সিদ্বান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

সিদ্ধান্তগুলো হলো:
১. যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোনো ফটোগ্রাফারকে বিচে ফটোগ্রাফি করতে দেওয়া হবে না।
২. অবৈধ ফটোগ্রাফারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং তাদের আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩. কোনো অবস্থাতেই ট্যুরিস্টদের সঙ্গে ফটোগ্রাফাররা বিবাদে জড়াতে পারবে না বা খারাপ আচরণ করতে পারবে না।
৪. ফটোগ্রাফার এবং ট্যুরিস্টদের মধ্যে মূল্য নিয়ে বা আচরণ নিয়ে কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে ট্যুরিস্ট পুলিশকে জানাতে হবে।

৫. ফটোগ্রাফাররা কোনো পর্যটককে ছবি তোলার ব্যাপারে প্রস্তাব বা অনুরোধ করতে পারবে না, পর্যটকদের প্রয়োজন হলে তারা নিজেরাই ফটোগ্রাফারদের ডেকে নেবে।

৬. ফটোগ্রাফারদের বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির দেওয়া আইডি কার্ড ও নির্ধারিত নম্বরসহ পোশাক পরিধান করতে হবে।

৭. ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন হতে বাছাই করে অভিজ্ঞ ও ট্যুরিস্ট বান্ধব ফটোগ্রাফার নির্বাচন করে ও তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নিরাপদ ফটোগ্রাফার পরিচয় পত্র দেওয়া হবে।

৮. ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন একটি ডাটাবেইজ তৈরি করবে।

৯. সিনিয়র ও দায়িত্বশীল ফটোগ্রাফারদের দিয়ে একটি কমিটি করে দেওয়া হবে।

১০. ফটোগ্রাফারদের সঙ্গে বসে খুব শিগগিরই একটি নতুন মূল্য তালিকা করা হবে।

১১. অবৈধ ফটোগ্রাফারদের প্রশ্রয় দাতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

১২. বিচের প্রবেশ পথে কোনো ফটোগ্রাফারকে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না এবং কোনো ট্যুরিস্টকে ফলো করে তাদের ছবি তুলতে অনুরোধ করা যাবে না।

১৩. প্রশিক্ষণবিহীন বা অভিজ্ঞতা ছাড়া কোনো ফটোগ্রাফারকে বিচে ফটোগ্রাফি করতে দেওয়া হবে না।

১৪. পর্যায়ক্রমে সব ফটোগ্রাফারকে পর্যটকদের সঙ্গে আচরণ ও কাস্টমার হ্যান্ডলিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ সবার সহযোগিতায় একটি সুশৃঙ্খল ও সৌন্দর্যময় বিচ উপহার দিতে কাজ করে চলেছে। পর্যটকদের ভ্রমণ আনন্দদায়ক করার সব প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮,২০২২
এসবি/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।