ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

বতসোয়ানা থেকে

উইন্ডহোয়েকে উইকএন্ড | সাদিয়া রশিদ

ট্রাভেলার্স নোটবুক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৬
উইন্ডহোয়েকে উইকএন্ড | সাদিয়া রশিদ

ভোরের আলো ফোটেনি এখনও। আকাশের গায়ে লাল-কমলা আভা।

বারান্দার দরজা খুলতেই ঠাণ্ডা মৃদু হাওয়ার ঝাপটা আর সঙ্গে পরিচিত কোনো ফুলের সুন্দর গন্ধ সকালটাকে স্নিগ্ধ করে দিলো আরও।  

আহ! কী প্রশান্তি! একজোড়া শালিক বসে আছে রেলিং ঘেঁষে। এতো সাত সকালে? দেখতেই উড়ে চ¤পট দিলো। বাহ, দিন  যাবে ভালো। আর দেরি করে লাভ নেই, ছ’টার মধ্যে রওনা না দিলে পৌঁছাতে রাত হয়ে যেতে পারে। আহারে আমার বাচ্চাটা! কী শান্তিতে ঘুমাচ্ছে। ঘুমের বাচ্চাকে কোলে নিয়ে গাড়িতে উঠলাম। আল্লাহর নাম নিয়ে যাত্রা শুরু করলো গাড়ির চালক ছেলের বাবা। কে জানতো কতো অ্যাডভেঞ্চার অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য!

বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরন থেকে যাত্রা শুরু। গন্তব্য নামিবিয়ার রাজধানী উইন্ডহোয়েক। সাউদার্ন আফ্রিকার দুই প্রতিবেশী দেশ।

মোটামুটি আমাদের ‘টয়োটা ভেরোসা’ গাড়িটাকে একটা ছোটখাটো বাসা বানিয়ে ফেলেছি। সামনের বাঁ-দিকের সিটটাকে ডাইনিং রুম বলে চালিয়ে দেওয়া যায়- নাশতা, ফ্লাক্স ভরতি চা-কফি, ম্যাগাজিন ইত্যাদি রাখা। পেছনের সিটটা মিনি বেডরুম। বালিশের উপর বালিশ দিয়ে সিটের সমান করে রীতিমতো বিছানা বানিয়ে ফেলা হয়েছে। ছেলে ঘুমাচ্ছে আর আমি কোনোরকম ঠেসেঠুসে একদিকে জায়গা 
করে নিয়েছি। বাহ, গাড়ি তো বাসা হিসেবে মন্দ নয়! রবীন্দ্রসঙ্গীত বেজে উঠলো, ‘তুমি কোন কাননের ফুল কোন গগনের তারা’। গানের মধুরতা আর ভোরের সৌন্দর্য আমাদের মনে অপার্থিব আনন্দ দিয়ে যেতে লাগলো।

নামিবিয়ার বর্ডার ঘেঁষে বতসোয়ানার শহরটার নাম ঘানচি। রাজধানী থেকে ৬শ ৫১ কিলোমিটার দূরে। নাহ, আজ আর বর্ডার ক্রস হবে না। গাড়িচালক ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। ঘানচিতে আমাদের এক বাঙালি বন্ধুপরিবারের বাসায় যাত্রা বিরতি এক রাতের জন্য। তিন বছর বয়সী বন্ধুপুত্র আমাদের ভ্রমণের আনন্দ আরও দশগুণ বাড়িয়ে দিলো। বন্ধু পরিবারের আতিথেয়তা ভোলবার নয়। ঘানচি থেকে উইন্ডহোয়েক ৫শ ২২ কিলোমিটার। পরদিন সকাল ১০টার দিকে কোনরকম নাটক ছাড়াই বর্ডার পার হলাম।

কালাহারি মরুভূমির ভেতর দিয়ে আঁকাবাঁকা সুন্দর রাস্তা চলে গেছে। কাঁটা জাতীয় ছোট-বড় গাছ রুক্ষ শুষ্ক মরুভূমির কথাই জানান দিচ্ছে। কিছুদূর পরপর ধু ধু প্রান্তর। এই বিখ্যাত কালাহারির কিছু পড়েছে বতসোয়ানায়, বাদবাকি নামিবিয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকাজুড়ে। মাঝে মধ্যে দুই-একটা হলুদ-সাদা ফুলও দেখতে পেলাম। মরুভূমির ফুল কিছুটা হলেও চোখে আরাম দিলো।

পথ আর শেষ হয় না। গাড়িচালক আবারও ক্লান্ত। ২শ কিমি হবে হয়তো, গাড়ি থামানো হলো রাস্তার ধারে গাছের ছায়ায়। আমার বাচ্চাটা একটু পর পর বলছে, ‘আম্মু আমি জঙ্গলে যাবো’। আমি তাকে বুঝিয়ে বললাম, সামনে আরও সুন্দর বন আর পশু-পাখি আছে। বাচ্চাকে খাইয়ে, নিজেরা কফি-বিস্কুট খেয়ে নিয়ে যাত্রা শুরু আবারও।

গাড়ি এগিয়ে চলছে...গান শুনছি, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। রবীন্দ্রনাথ আমাদের যাত্রা পথের সাথী... আমাদের আনন্দ-বেদনার চিরসঙ্গী।

ধীরে ধীরে রুক্ষতা কমে আসছে, রাস্তার দু'পাশে একটু পর পর কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া.. আরও নাম না জানা সবুজ গাছ। অচেনা বন্য ফুল ফুটে রয়েছে কতো! এদিকটায় কতো রঙ-বেরঙের পাখির আনাগোনা। সবচাইতে দর্শনীয় হলো, বানরের রাস্তা পার হওয়া। একটু পর পর গাড়ি থামিয়ে বানর 
মহাশয়দের রাস্তা পার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। বাচ্চাকে বললাম, বানরকে কলা খেতে দেবে না আব্বু? বলাতে সে কলা ছুড়ে দিলো। একটা বানর এসে ভেংচি কেটে সেটা নিয়ে গেলো। ছেলে আমার খুব খুশি। আমিও তাই খুশি। কিছুদূর যাওয়ার পর এক দল ঘোড়া দেখলাম রাস্তার পাশে। একটা মা ঘোড়া তার সদ্যজাত শিশুকে নিয়ে ঝোপের ভেতর চলে গেলো। নামিবিয়া পশু-পাখির অভয়ারণ্য।

আমরা প্রায় উইন্ডহোয়েকের কাছে চলে এসেছি। দু'-একটা বাড়ি-ঘরের দেখা পেলাম এতক্ষণ পর। গোটা শহরটাই পাহাড়ের উপর। পাহাড়ের উপর দিয়ে সুন্দর সর্পিল রাস্তা এঁকেবেঁকে চলে গেছে। শহরে ঢুকে পড়েছি। কী সুন্দর ছিমছাম গোছানো শহর! রাস্তার দু’পাশে নাম না জানা হরেক রকম বাহারি ফুলের গাছ।

আমরা দু’জনই দীর্ঘ যাত্রায় ক্লান্ত। ছেলেটা ঘুমুচ্ছে। একটা লজে বুকিং দেওয়া আছে। লজ খুঁজে ফিরছি জিপিএস-এ। লজের চারপাশে দু’তিনবার চক্কর দেওয়া হয়ে গেছে। আমাদের ক্লান্ত চোখের ভ্রম। অবশেষে খুঁজে পেয়ে বাঁচলাম।



লজের মালিক এক জার্মান মহিলা। রোগা শরীর, উজ্জ্বল চোখের মধ্যবয়স্ক হাসি-খুশি মহিলা। তার পায়ের কাছে ঘুরঘুর করছে দুই পোষা কুকুর। একজনের নাম সেমি আর আরেকজন মন্টি। প্রথম দেখায় ভালো লেগে গেলো মহিলাকে। আমাদের ইউনিটটা চিনিয়ে দিলো। আমাদের রুমের সামনের বারান্দাতে হরেকরকম ক্যাকটাস টবে লাগানো। বারান্দা খড়ের শেড দেওয়া। রুমগুলোও বেশ 
পরিপাটি করে গোছানো। ফ্রেশ হয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে করতেই বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। পাশের সুপার শপে গেলাম টুকটাক কেনাকাটা করতে। বতসোয়ানার তুলনায় জিনিসপত্রের দাম বেশি মনে হলো। শপে শেতাঙ্গদের দেখা মিললো বেশি। এ দেশের জনসংখ্যা ২.১ মিলিয়ন। এর মধ্যে ৭৫ হাজার থেকে দেড় লাখ শেতাঙ্গ বাস করে। পূর্ব পুরুষরা বেশিরভাগ জার্মান কিংবা ডাচ। তারা এদেশটাকে খুব ভালোবাসেন। ‘আফ্রিকানস’ ভাষায় কথা বলে সবাই যা মূলত ডাচ আর জার্মান ভাষার সংমিশ্রণ।  

পরদিন সকালে নাশতা সেরে লজটা ঘুরে ঘুরে দেখলাম। এতো সুন্দর ছিমছাম করে রাখা সব! সাধারণ, সহজলভ্য জিনিস দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরোটা। সুইমিংপুল ঘেঁষে ফুলের বাগান। কাঠের উপর লেখা কিছু সুন্দর সুন্দর উক্তি বাগানের বিভিন্ন জায়গায় রাখা। বাগানের একপাশে ছোট্ট জলাধার, কয়েকটি সোনালি মাছ রাখা তাতে। আমার ছেলের সব মনোযোগ মাছের দিকে। গাছের নিচে পড়ে থাকা বাসি ফুল ছুড়ে ছুড়ে ফেলছে আর আনন্দে হাততালি দিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় উইন্ড চাইমের টুংটাং শব্দ পরিবেশটাকে আরও স্নিগ্ধ করে তুলেছে।

ফুরফুরে মন নিয়ে রওনা হলাম শহর দেখতে। অঘটন ঘটে গেলো। গাড়ি থেকে পোড়া গন্ধ আসছে সঙ্গে জিপিএস নষ্ট। হায় হায়, এই বিদেশ বিভূঁইয়ে কই যাই এখন! গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করে বসে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় রইলো না। আমার হাসব্যান্ড লজে ফোন করে হেল্প চাওয়াতে জার্মান মহিলা তার হাসব্যান্ডসমেত হাজির। তাদের সহযোগিতা না পেলে এই অচেনা দেশে আমাদের কতো যে ভোগান্তি হতো, 
তা কল্পনাও করতে পারি না। গাড়ি মেরামত করতে নিয়ে যাওয়া হলো এক বৃদ্ধ জার্মান ভদ্রলোকের গ্যারাজে। ভদ্রলোক সারাদিন ধরে নিজে কাজ করে গাড়ি ঠিক করে দিলেন আর  দুই হাজার নামিবিয়ান ডলারের জায়গায় নিলেন মাত্র ২শ। লোকটার শ্রম আর সময়ের কাছে ২শ ডলার কিছুই না। আমরা ঠিক করলাম বাসায় ফিরে লোকটার জন্য গিফট পাঠিয়ে দেবো।

গাড়ি নিয়ে ঘুরে এলাম পার্লামেন্ট ভবন, মিউজিয়াম, পার্লামেন্ট ভবনের সামনের পুরনো গির্জা, ক্রাফট মার্কেট। আফসোস, কোনো সাফারি পার্ক দেখা হলো না আমার বাচ্চাটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছে বলে। তাকে সাফারি পার্ক দেখানোর প্রমিজ রাখতে না পারার কষ্টটা রয়ে গেলো।

পরদিন খুব ভোরে সমুদ্র শহর সোকাপমুন্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু। উইন্ডহোয়েক থেকে ৩শ ৫১ কিমি। আবারও অঘটন ঘটে গেলো। ভয়াবহ বিপদ থেকে বেঁচে গেলাম। গাড়ির সামনের বাঁ দিকের টায়ার ফেটে গেছে। আমার হাসব্যান্ড দক্ষ মেকানিকের মতো কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ির বুটে রাখা অতিরিক্ত চাকা এনে লাগিয়ে দিলো যদিও চাকার সাইজ ছোট। এই চাকা নিয়ে ভয়ে ভয়ে পথ চলা শুরু।

একটু পর আবারও অঘটন। গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেছে। গাড়ির ব্যাটারি ডাউন। এবার তাকে চিন্তিত দেখালো বেশ। বেচারা ভাবছে, বউ-বাচ্চা নিয়ে এই জনমানবহীন রাস্তায় কী করবে। আমি এমন ভাব দেখালাম, গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হওয়া, চাকা নষ্ট হওয়া ডাল-ভাত ব্যাপার। এমন তো রোজই ঘটে। আল্লাহ মুখ তুলে চাইলেন। একটা পিক আপকে হাত ইশারায় থামানো হলো। ব্যাটারিতে চার্জ নিতেই গাড়ি স্টার্ট নিলো। ধন্যবাদ জানিয়ে রওনা হলাম। আনুমানিক ৫০ কিমি দূরে যাওয়ার পর দেখা মিললো লোকালয়ের। ছোট্ট গ্রাম। ভাগ্য এবার সুপ্রসন্ন। গ্যারাজ পেলাম, সাইজমত চাকাও পেলাম। যদিও পুরোনো চাকা, তারপরও কাজ চলে যাবে এবারের মতো। আমরা দু’জনেই তওবা করলাম, আর কোনোদিন হুজুগের বশে একা ‘জার্নি বাই রোড’ করবো না। এতো দূরের পথে আরও দু'-একটা পরিবারসহ ভ্রমণে নামা উচিত। রাস্তাঘাটের বিপদ-আপদ তো বলে-কয়ে আসে না! এদেশটা সুন্দর সন্দেহ নেই, তবে তার থেকেও বেশি সুন্দর- এ দেশের মানুষের মন। বিপদ হলে মানুষ চেনা যায়। সদা হাসিমুখ মানুষগুলো একদিকে যেমন পরোপকারী তেমনি সুন্দর তাদের ব্যবহার।

সোকাপমুন্ড পৌঁছাতে পৌঁছাতে বিকেল হয়ে গেলো। প্রথমেই গাড়ির ব্যাটারি বদলানো হলো। লজে এসে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া-দাওয়া সেরে নিলাম। হাঁটাপথে সমুদ্র। আটলান্টিক মহাসাগর। কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস। ছেলে আর আমাদের গায়ে পর্যাপ্ত শীতের পোশাক।



সমুদ্রতীরে পাখির আনাগোনা। একটা সীল মরে পড়ে রয়েছে তীরে। তীর ঘেঁষে রেস্তোরাঁ, লন। লোকজন ইচ্ছেমতো এখানে-সেখানে বসে গল্প করছে, কারও কারও হাতে সিগারেট। আমার ছেলের আনন্দ আর ধরে না। সমুদ্র তীরে বাবা-ছেলের দুষ্টুমি দেখছি। ধন্যবাদ জানাই সৃষ্টিকর্তাকে, কতো আনন্দের উপকরণ দিয়ে তিনি ঢেলে সাজিয়েছেন এ পৃথিবী! বেচেঁ থাকা কতো সুন্দর! ও বললো, গান ধরো তো 
একটা! তার প্রিয় গান, ‘সাগরের তীর থেকে মিষ্টি কিছু হাওয়া এনে তোমার কপালে ছোঁয়াবো গো ভাবি মনে মনে’।  বলাবাহুল্য, ছেলের বাবা আমার গানের একনিষ্ঠ ভক্ত, তা যতো খারাপই গাই না কেনো!

সমুদ্রপাড়ের রেস্তোরাঁ ‘জেটি’তে এলাম ডিনার সারতে। সব টেবিলে মোম জ্বালানো। চারটা স্তম্ভের উপর তৈরি রেস্তোরাঁ। পানি এসে আছড়ে পড়ছে সেখানে। রেস্তোরাঁ থেকে সমুদ্রের উপর দিয়ে খানিকপথ কাঠের পাটাতন দিয়ে জেটি করা। সমুদ্রের ঢেউ এসে আছড়ে পড়াতে কাঠের পাটাতন 
কেঁপে কেঁপে উঠছে। আমি বললাম, এই অবেলায় প্রাণ হারাতে চাই না, চলো তাড়াতাড়ি।
সামুদ্রিক মাছ আর কফির অর্ডার নিলো ওয়েট্রেস। আহ! কী স্বাদ সেই সব মাছের! এখনো মুখে লেগে রয়েছে।

পরদিন সকালে সোকাপমুন্ড থেকে ৩০ কিমি দূরে অবস্থিত ‘ওয়েলভিস বে’তে গিয়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সমুদ্রের ধার ঘেঁষে নয়নাভিরাম বাড়ির সারি, হোটেল, রেস্তোরাঁ, লজ। রাস্তাঘাট কী সুন্দর, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। কেউ সাইকেল নিয়ে ঘুরছে, কেউ বই পড়ছে, কেউ গাড়ি পার্ক করে পা ঝুলিয়ে বসে রয়েছে, কেউ ছবি তোলায় ব্যস্ত, কেউ হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছে....কারও কোনো তাড়া নেই, সবার মুখে হাসি। হঠাৎ তিনজনই দাঁড়িয়ে পড়লাম। হাজার হাজার ফ্লেমিংগো পাখির মিছিল! মনে হচ্ছে গোলাপী-কমলা কার্পেটে মোড়ানো সমুদ্র তীর!

বিকেল নাগাদ লজে ফিরে এসে ব্যাগ-বোঁচকা ঠিকঠাক করে রাখলাম। আমাদের নামিবিয়ার শেষ রাত্রিযাপন আজ। পরদিন কোনরকম অঘটন ছাড়াই সৃষ্টিকর্তার কৃপায় বতসোয়ানার ঘানচিতে পৌঁছালাম। ঘানচিতে দু'রাত থেকে নিজ আবাস্থল গ্যাবোরনের দিকে রওনা হলাম আর সঙ্গে নিয়ে এলাম সারা জীবন রোমন্থন করার মতো অসংখ্য স্মৃতি।  

বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৬
এসএনএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।