ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও

আগরতলা (ত্রিপুরা): ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহার বাসভবন ঘেরাও করছেন চাকরিচ্যুত ১০ হাজার ৩২৩ শিক্ষকদের একাংশ।

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাদের চাকরি থেকে অপসারণ করে রাজ্য সরকার।

 

চাকরিচ্যুতদের অভিযোগ, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যা করে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাদের দাবি, অবিলম্বে চাকরিতে ফিরিয়ে নিতে হবে।  

এই দাবিতে তারা দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় ধরে রাজধানী আগরতলার রবীন্দ্র ভবন প্রাঙ্গণে গণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। গণ অবস্থানের ৬২তম দিনে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) আচমকা তারা মিছিল নিয়ে রাজধানীর বনমালীপুর এলাকার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করতে যায়।

খবর পেয়ে পূর্ব আগরতলা থানা থেকে বিশাল উপনির বাহিনী মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনেই তাদের পথরোধ করেন। পুলিশের বাধা পেয়ে তারা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।

আন্দোলনকারীদের নেতা প্রদীপ বণিক রাস্তায় বসেই বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছেন। কিন্তু সরকারের কাছ থেকে কোনো ধরনের সাড়া পাচ্ছেন না। তারা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য বহু দিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীও তাদের এড়িয়ে যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে তারা মুখ্যমন্ত্রীর বাস ভবনের সামনে আসতে চাইছেন।

তিনি আরও বলেন, যদি মুখ্যমন্ত্রীর মনে হয় তাদের দাবি ঠিক নয়, তাহলে তাদেরকে বুঝিয়ে বলতে। আলোচনার টেবিলে যদি মুখ্যমন্ত্রী তাদের বোঝাতে সক্ষম হন, যে তাদের দাবি সঠিক নয়, তাহলে তৎক্ষণাৎ তারা আন্দোলন ছেড়ে চলে যাবেন। আর যদি তাদের দাবি সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে শিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে যেন পুনঃরায় নিয়োগ করা হয়।

এদিকে জানা গেছে, আন্দোলনকারীরা এদিন যখন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করার জন্য যান, তখন মুখ্যমন্ত্রী তার বাসভবনে ছিলেন না। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঊনকোটি জেলার কুমারঘাটে অবস্থান করছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
এসসিএন/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।