আগরতলা, (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার সিপাহীজলার পদ্মঢেপা এলাকায় পিকনিকের জন্য বুর্জ খলিফার আদলে বানানো হয়েছে বুড়ির ঘর। যা দেখতে এখন দূর-দুরান্ত থেকে মানুষ আসছেন।
প্রচলিত একটি প্রবাদ রয়েছে ‘বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। ’ এ পার্বণের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে মকর সংক্রান্তি।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) এবছরের এ উৎসব। বাংলা পৌষ মাসের শেষ দিন এই সংক্রান্তি হয় বলে একে পৌষ সংক্রান্তিও বলা হয়ে থাকে। এ উৎসব মূলত পিঠাপুলির। বিশ্বের যে প্রান্তেই বাঙালি রয়েছেন তারা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই এর ব্যতিক্রম নয় ত্রিপুরা রাজ্যেও।
পৌষ সংক্রান্তির আগের দিন রাজধানী আগরতলা শহর রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে মাছ, মাংস এবং ভোজ্য সামগ্রীর দোকানগুলোতে। তেল, মসলা, চালের গুড়া, সুজি, ময়দা, গুড় সামগ্রীর দোকানে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজধানী আগরতলার মহারাজগঞ্জ বাজার লেক চৌমুহনী বাজারসহ অন্যান্য বাজারগুলিতে পিঠাপুলি তৈরির সামগ্রীর অস্থায়ী দোকান বসেছে।
সংক্রান্তির আগের দিন রাতে ৮ থেকে ৮০ বয়সী মানুষ পরিবার-পরিজন আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধব নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করে থাকেন। পিকনিক করার জন্য ধানের ন্যাড়া (ধান গাছের গুড়ার অংশ) দিয়ে ঘর তৈরি করা হয়, যাকে বলা হয় ‘বুড়ির ঘর’। যদিও নগরায়নের জন্য এবং ন্যাড়া না পাওয়ার কারণে শহরাঞ্চলে এসব ঘর এখন আর খুব একটা দেখা যায় না। গ্রামীণ এলাকায় এখনও এসব ঘরের প্রচলন রয়েছে। তবে বুড়ির ঘর নিয়ে মানুষের আগ্রহ কমেনি। তাই এবার ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার পদ্মঢেপা এলাকার যুবক ও কিশোর বুর্জ খলিফার আদলে বুড়ির ঘর তৈরি করেছেন।
ইন্টারনেটের দৌলতে তার ছবি এখন ছড়িয়ে পড়েছে দেশ দুনিয়ায়। তাদের এ ঘর দেখার জন্য এখন দূর-দূরান্ত থেকে লোক আসছেন। অনেকেই দূর-দুরান্ত এলাকা থেকে চাক্ষুষ করছেন ও সেলফি তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।
নির্মাতারা জানান, সবাই মিলে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে পিকনিক করবেন এবং ভোরে রীতি অনুসারে স্নান সেরে ঘরটিকে পুড়িয়ে ফেলা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৩
এসসিএন/এএটি