আগরতলা: বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে খোয়াই জেলার আমপুরা এলাকায় আদিবাসীদের ‘ত্রিং ১৪২৭ ত্রিপুরাব্দ’ উৎসব পালিত হয়েছে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দিবাগত রাত ঠিক ১২টা দিকে শুরু হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সদস্য এবং বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন উপজাতি অংশের দ্বারা স্বঘোষিত মহারাজা তথা সমাজসেবী প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মণ, প্রতিবেশী আসাম রাজ্যর বড়ো সমাজের সভাপতি রাজেন্দ্রনাথ বড়ো, টাটা স্টিল’র সামাজিক কর্তব্য বিভাগের প্রধান বীরেন ভুটা প্রমুখ।
প্রধান অতিথি মহারাজা প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মণ প্রথমে একটি বড় আকারের মোমবাতি প্রজ্বলন করেন তারপর অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের হাতে একটি করে জ্বলন্ত মোমবাতি রেখে নতুন বছরকে স্বাগত জানান। এই সময় অনুষ্ঠানস্থলের সকল বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। বর্ষ বরণের প্রার্থনার পর আবার বৈদ্যুতিক আলো জ্বালানো হয়।
পরে সারা রাত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে। প্রতিবছর ২১ ডিসেম্বরে ত্রিং উৎসব পালন করা হয়। হাজার হাজার মানুষ এ উৎসবে যোগ দেন।
ত্রিপুরা রাজ্যে রাজ আমলে আদিবাসীদের নিজস্ব ক্যালেন্ডার ছিল। একে বলা হতো ত্রিপুরাব্দ। সেই সময় রাজকার্য চালিত হতো তাদের এই নিজস্ব ক্যালেন্ডার মেনে। আর ককবরক ভাষায় নববর্ষকে বলা হয় ত্রিং।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজতন্ত্র ইতিহাসের পাতায় স্থান নিয়েছে। সেই সঙ্গে ইতিহাস হয়েছে রাজন্য আমলের বহু নিয়ম কানুন। তবে এখনো ত্রিপুরা রাজ্যের বহু আদিবাসী তাদের অনেক সামাজিক রীতি-নীতি মর্যাদার সঙ্গে পালন করে থাকেন।
এমন একটি উৎসব হল ত্রিং। এই উৎসবের মূল অনুষ্ঠানটি এখন প্রতি বছর ভিন্ন ভিন্ন স্থানে পালন করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৬
এসসিএন/জিপি/আরআই