চার একর জায়গার ওপর অত্যাধুনিক এই গ্রিনহাউসটির নির্মাণের দায়িত্বে মহারাষ্ট্র রাজ্যের বেসরকারি সংস্থা জৈন ইরিগেশন সিস্টেম লিমিটেড। গত এক বছর ধরে এখানে এই হাইটেক গ্রিনহাউজটির স্থাপনের কাজ চলছে বলে বাংলানিউজকে জানান, প্রকল্পের দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা শৌন কুমার।
শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) প্রকল্প স্থলে ঘুরে দেখা যায়, লোহার কাঠামোর ওপর পলিমার সিট তাঁবুর মতো তৈরি করা হচ্ছে এক একটি গ্রিনহাউস।
শৌন কুমার বলেন, এগুলোকে তাদের পরিভাষায় বলা হয় টার্মিনাল, এক একটি লম্বায় ২৮ মিটার। প্রয়োজনে এই গ্রিনহাউসগুলোর ভেতর বাতাস চলাচলের জন্য দেওয়ালের পলিমার সিট মুড়িয়ে নেওয়ার বিশেষ ব্যবস্থাও রয়েছে। মোট ১১টি এমন টার্মিনাল তৈরি হয়েছে। সবকটির বাইরের কাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে।
তবে সার্বিক কাজ শেষ করতে আরও ছয় মাস সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এখানে উন্নত মানের হাইব্রিড সবজির চারা ও সবজি উৎপাদন করা হবে। মূলত টমেটো, ক্যাপসিকাম, শশা ইত্যাদি সবজি চাষ করা হবে।
উৎপাদিত সবজি বীজ ত্রিপুরা রাজ্যসহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পাঠানো হবে জানিয়ে শৌন কুমার বলেন, এখানে উৎপাদিত পণ্য বিদেশেও রফতানি করা যাবে। কৃষকরা এখান থেকে ভর্তুকিতে উন্নতমানের চারা সংগ্রহ করতে পারবেন। এই গ্রিনহাউসে কাজে লাগানো হবে সৌর শক্তিকে। এর জন্য প্রকল্পের ফাঁকা জায়গায় বসানো হয়েছে সৌর বিদ্যুতের প্যানেল। সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করে যেমন গ্রিনহাউসের ভেতরের নানা বৈদ্যুতিক সামগ্রী চালানো হবে, সেইসঙ্গে চারা গাছের সেচের জন্য মোটর পাম্পও চালানো হবে।
এই প্রকল্পের জন্য মোট খরচ হবে ৬ দশমিক ২৫ কোটি রুপি। এটি শুধু ত্রিপুরা রাজ্য নয় উত্তরপূর্ব ভারতের মধ্যেও অন্যতম বড় এবং অত্যাধুনিক গ্রিনহাউস হবে বলে জানান কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৭
এসসিএন/জিপি/আইএ