শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে এবছরের মেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন ত্রিপুরা সরকারের কারা ও আদিম জাতি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী মনিন্দ্র রিয়াং এবং ত্রিপুরা উপজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী সদস্য রাধাচরণ দেব্বর্মা, তিন বিধায়ক যশোবীর ত্রিপুরা, প্রিয়মনি দেব্বর্মা, পরিমল দেবনাথ প্রমুখ।
দু’দিনব্যাপী মেলায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সন্ধ্যায় হলেও এদিন সকাল থেকেই মেলা চত্বরে সাধারণ মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেন।
এবছর মেলায় প্রায় ৫শ’ দোকানি এসেছেন। করবুক মহকুমা প্রশাসন থেকে এসব ব্যবসায়ীদের জন্য দোকান বসানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে আসা পূণ্যার্থীদের থাকার জন্য অস্থায়ী শিবির তৈরি করা হয়েছে। খাওয়ার জন্য পানীয় জল ও গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মেলায় আগতদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মেলা প্রাঙ্গণ নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে মোট ১ হাজার ৩শ’ পুলিশ ও টি এস আর জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে।
তীর্থমুখে ত্রিপুরা রাজ্যের অন্যতম বড় গোমতী নদীর উৎস স্থল, এখানে রাজ্যের একমাত্র জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিচে একটি ঝিল রয়েছে। রাজ্যের জাতি-উপজাতি অংশের ধর্মপ্রাণ মানুষ মকর সংক্রান্তির পূণ্য তিথিতে পূণ্য স্নান করেন, পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণসহ পিণ্ডদান করেন।
হিন্দু ধর্মপ্রাণ মানুষের বিশ্বাস মকর সংক্রান্তির পূণ্য তিথিতে তীর্থমুখে স্নান করলে সব পাপ ধুয়ে যায়। এ বিশ্বাসে ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমনকি উত্তরপূর্ব ভারতসহ বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকা থেকেও মানুষ তীর্থমুখে আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৭
এসসিএন/জেডএস