রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বইমেলার দ্বিতীয় দিনেও দেখা যায় বইমেলার অনেক স্টলের নির্মাণ কাজ চলছে। মেলা চত্বর প্রায় ফাঁকা।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বইমেলা চত্বর ফাঁকা দেখে খানিকটা অবাক হতে হয়। তবে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতে নামতে মেলা চত্বরে ভিড় বাড়তে থাকে।
বইমেলায় বিক্রি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে একাধিক বিক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, বইয়ের বিক্রি ভালোই হচ্ছে। বিশেষ কোনো ধরনের নয়, সব বইই বিক্রি হচ্ছে।
এ বছর বইমেলার অনেক ব্যবসায়ী নগদের পাশাপাশি নগদহীন কেনাকাটার জন্য মেশিন নিয়ে এসেছেন। তবে মেলা স্টল বণ্টন নিয়ে অনেক ব্যবসায়ীদের মুখে শোনা গেলো ক্ষোভের সুর।
বইমেলায় মোট দুইশো’ ২১টি স্টল রয়েছে। এ স্টলগুলিতে আগরতলা, ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকা, কলকাতা, গৌহাটিসহ দিল্লির ব্যবসায়ীরা এলেও একটি স্টলও দেখা যায়নি প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো বইয়ের স্টল।
বইমেলার আয়োজক ত্রিপুরা সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের মেলা প্রাঙ্গণের অস্থায়ী অফিসে করলে দফতরের কর্মী দুলাল দে বাংলানিউজকে জানান, চিঠি দিয়ে বাংলাদেশের প্রকাশকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো। কী কারণে অংশ নেননি তা দফতরের জানান নেই।
বইমেলায় আসা অনেক ক্রেতা জানান বাংলাদেশের প্রকাশকরা অংশ না নেওয়ায় সে দেশের সাহিত্যিকদের লেখা থেকে বঞ্চিত রইলেন ত্রিপুরার পাঠকরা।
মেলা প্রতিদিন স্থানীয় সময় বিকেল ২টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭
এসসিএন/এএটি/এমজেএফ