ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

শিলাবৃষ্টিতে দিশেহারা ত্রিপুরার তরমুজ চাষীরা

সুদীপ চন্দ্র নাথ, আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৭
শিলাবৃষ্টিতে দিশেহারা ত্রিপুরার তরমুজ চাষীরা    ত্রিপুরায় শিলাবৃষ্টিতে তরমুজে ফাটল। ছবি: সুদীপ

আগরতলা: ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতী জেলার অমরপুর ও করবুক এলাকা এবং খোয়াই জেলার আশারামবাড়ী এলাকা তরমুজ চাষের জন্য বিখ্যাত। প্রতি বছর এই সকল এলাকায় প্রচুর তরমুজ চাষ হয়। এসব এলাকার তরমুজ রাজধানী আগরতলাসহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় যায়।

অমরপুরসহ রাজ্যের অন্যান্য এলাকার চাষিদের তরমুজ ইতিমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে। কিন্তু এবছর রাজ্যের চাষিরা পড়েছেন উভয় সঙ্কটে।

একে তো তরমুজ বীজ রোপনের সময় বৃষ্টি হয়নি। এজন্য তখন সেচের খরচ বেড়েছে। আর এখন তরমুজ তোলার সময়ে বাগড়া দিয়েছে শিলাবৃষ্টি। গত শনিবারের(১৮ মার্চ) এই শিলাবৃষ্টিতে বেশীর ভাগ তরমুজ ফেটে যাচ্ছে।  

অমরপুর মহকুমার ভোমরাছড়া বাজারে তরুণ চাকমা নামে এক তরমুজ চাষি বাংলানিউজকে জানান, গত বছর এই সময়ে যে তরমুজ ৮০ থেকে ৯০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছিলো, এ বছর সেই তরমুজ মানুষ কিনতেই চাইছে না। পাইকারি ক্রেতারাও শিলার আঘাত পাওয়া তরমুজ কিনতে চাইছেন না দ্রুত পচে যাওয়ার ভয়ে।
শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত তরমুজ হাতে চাষি।  ছবি: সুদীপ
তবু অপেক্ষাকৃত বড় আকারের তরমুজ বাজারে নিয়ে এসেছেন তরুণ চাকমা। যা বিক্রি হবে তাই লাভ। কিন্তু ক্ষেতের ছোট তরমুজগুলো রোদ উঠলেই পচতে শুরু করবে। কিছু তরমুজের গায়ে পড়বে কালো দাগ।  

একই অবস্থা রাজ্যের অন্যান্য তরমুজ চাষিদের। অনেক চাষি আবার ঋণ নিয়ে তরমুজ চাষ করেছেন। তারা এখন লাভ তো দূরের কথা, কি করে সার কীটনাশক সহ চাষের খরচ ত‍ুলবেন তা ভেবেই দিশেহারা।    

বাংলাদেশ সময়:  ১০৩০   ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৭
এসসিএন/জেডএম       

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।