বর্ষার মৌসুমে হিমালয়ের জলে ব্রহ্মপুত্র যখন উন্মত্ত রূপ ধারণ করে তখন পাগলা এই নদটিকে ডিঙ্গিয়ে এপার ওপার করার সাহস হারিয়ে ফেলে সারা বছর ধরে নদে ভেসে বেড়ানো সবচেয়ে সাহসী মাঝিও। তখন দিনের পর দিন নদ পারাপার বন্ধ থাকে।
এখানেই শেষ নয়, ভারী বর্ষায় গুরুতর রোগীদের ভোগান্তি পৌছে চরমে। বর্ষাকালের জন্য তাই সরকারি উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে নৌকায়।
ভারী বর্ষায় যখন নদের জলে দ্বীপের অধিকাংশ এলাকা পানিতে ভরে যায়, রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়-তখন নৌকার স্বাস্থ্য কেন্দ্র আর প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়ে ডাক্তারই হাজির হন গ্রামে। রোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ওষুধ দেন। এক জনপদের চিকিৎসা শেষ করে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা কেন্দ্র ছোটে অন্য জনপদে।
তাছাড়াও মাজুলীতে রয়েছে একাধিক উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। এ সব চিকিৎসা কেন্দ্রে রোগীর চিকিৎসা সম্ভব না হলে, জরুরি পরিষেবার প্রয়োজনে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সে করে যোরহাটে পাঠানো হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, জুন ২০১৭
জেডএম/