ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরায় দেখা দিয়েছে বন্যা, আশ্রয়কেন্দ্রে বহু মানুষ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
ত্রিপুরায় দেখা দিয়েছে বন্যা, আশ্রয়কেন্দ্রে বহু মানুষ বন্যা দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে-ছবি-বাংলানিউজ

আগরতলা: কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। খোয়াই, হাওড়া, মনুসহ রাজ্যের প্রায় প্রতিটি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া ও কল্যাণপুর এলাকার কয়েকশ বাড়িঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের তিনটি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয় নেওয়া মানুষের মধ্যে খাবার  বিতরণ করা হচ্ছে।

পুলিশ ও ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের (টিএসআর) জওয়ানরা বন্যা কবলিত মানুষদের আশ্রয় শিবিরে নিয়ে আসতে কাজ করছে।  

সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে পাহাড়ি ঢলে আগরতলার পার্শ্ববর্তী চানপুর ও ধলদাখাল এলাকায়ও বন্যা দেখা দিয়েছে।

বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার করতে আগরতলায় টিএসআর এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী কাজ করছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানরা নৌকায় করে বন্যা দুর্গতদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাচ্ছেন।  

ত্রিপুরা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার পবিত্র কর উদ্ধার কাজ তদারকি করছেন।

পশ্চিম জেলার জেলা শাসক মিলিন্দ রামটেক ও সদর মহকুমা শাসক সুমিত রায় চৌধুরী বন্যা দ‍ুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

পবিত্র কর বাংলানিউজকে জানান, যেকোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। নতুন করে যদি আরও এলাকা প্লাবিত হয় তবে দুর্গতদের যাতে নিরাপদে রাখা যায় তার জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রাজ্যের উত্তর, ঊনকোটি ও সিপাহীজলা জেলার কিছু কিছু এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
এসসিএন/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।