বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে মায়া রানী দাস (৬০) নামে এক বৃদ্ধা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ত্রিপুরা সুন্দরী হাসপাতালে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত রক্ত দেওয়ার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী বৃদ্ধার ছেলে সমীর দাস ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে এক ব্যাগ রক্ত নিয়ে আসেন।
কিন্তু এর কিছুক্ষণের মধ্যে রোগীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে মৃত্যু হয় বলে পরিবারের সদস্যরা সংবাদমাধ্যমকে জানান। পরে দেখা যায় প্যাকেটের গায়ে ও-পজেটিভ (O+) এবং এবি-পজেটিভ (AB+) দু’টি গ্রুপই লেখা রয়েছে। এ বিষয়ে দু’জন চিকিৎসক ভিন্ন ভিন্ন মত দেন।
রাজ্যে এধরনের অভিযোগ নতুন নয়, বিশেষ করে বহিঃরাজ্য থেকে চিকিৎসা দেওয়ার নাম করে আসা একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অভিযোগ কয়েছে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার নাম করে মৃত রোগীকে আইসিইউতে দিনের পর দিন রেখে মিথ্যা রিপোর্ট তৈরি করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার। এমনকি অর্থ না দেওয়ায় মরদেহ আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে।
বহিঃরাজ্য থেকে ত্রিপুরাবাসীকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে আসা বিশ্বমানের, আন্তর্জাতিক মানের ইত্যাদি বিশেষণে ভূষিত সুন্দর সুন্দর মনভোলানো শব্দের আড়ালে ব্যবসায়ী হাসপাতালগুলোতে প্রায় প্রতিদিন এ ধরনের অভিযোগ ওঠে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৭
এসসিএন/এএ