হেরিটেজ পার্কে ত্রিপুরা রাজ্যের সমস্ত ঐতিহাসিক স্থাপনা মিনিয়েচার করে রাখা হয়েছে। এছাড়া ত্রিপুরা রাজ্যের আটটি জেলাকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আগরতলার প্রাণকেন্দ্রে কুঞ্জবন এলাকায় ৬ হেক্টর জায়গার উপরে এই উদ্যান অবস্থিত। নান্দনিক উপস্থাপনা শৈলীতে সাজানো প্রবেশদ্বার এখানে আসা দর্শনার্থীদের আন্দোলিত করে।
এখানে মিনিয়েচার করে রাখা হয়েছে পিলাক, ছবিমুরা, ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির, নীরমহল, উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ, চর্তুদশ দেবতা মন্দির, ঊনকোটি ও ঐতিহাসিক আগরতলা রেল স্টেশন।
টিকিট কেটে ভেতরে ঢুকলেই দেখতে পারেন আগরগাছ। আগরগাছের আধিক্যের কারণেই শহরটির নাম রাখা হয় আগরতলা। এখানে রয়েছে তিন শতাধিক প্রজাতির উদ্ভিদ। এক নজরে পুরো ত্রিপুরা জেলাকে একটি ম্যাপের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য এই পার্ক খোলা থাকে। প্রবেশ মূল্য মাত্র ১০ টাকা। ১২ বছরের নিচে শিশুদের প্রবেশমূল্য ফ্রি। তবে ভিডিও বা প্রফেশনাল ক্যামেরা নিয়ে গেলে গুণতে হবে বাড়তি চার্জ। ২৫ পয়সা মূল্যে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত মর্নিং ওয়ার্কের জন্য পার্কে প্রবেশ করা যায়।
পার্কের টিকিট মাস্টার নিতাই পাল বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন ৫শ’ দর্শনার্থী হেরিটেজ পার্ক পরিদর্শনে আসেন। ছুটির দিনে ও বিভিন্ন উৎসবে এই সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এক নজরে পুরো ত্রিপুরা রাজ্যের ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখতে হেরিটেজ পার্কের বিকল্প নেই।
২০১২ সালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এর উদ্বোধন করেন। পার্কটি নিয়ে ত্রিপুরাবাসী গর্বিত।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘন্টা, জুলাই ৩১, ২০১৭
এনইউ/আরআর