জানা যায়, সাবেক ত্রিপুরা রাজার গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালীন অবকাশ যাপনের জন্য এ মহলটি নির্মাণ করা হয়। ভবনটি একাধারে যেমন রাজার সৌন্দর্যপ্রিয়তার প্রমাণ দেয়, তেমনি হিন্দু ও মোঘল সংস্কৃতি মিশিয়ে দর্শনীয় কিছু করতে চেয়েছিলেন, সেই ধারণারও প্রমাণ পাওয়া যায়।
নীর অর্থাৎ জলের মাঝে মহলটি স্থাপিত বলে এর নামকরণ করা হয় নীরমহল। মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক বাহাদুরের আমলে নীরমহল তৈরি মহলটি ত্রিপুরার মেলাঘরে নীরমহল অবস্থিত। বাংলানিউজের ক্যামরায় ধরা পড়ে শুভ্র মহলটির অপার সৌন্দর্যের চিত্র। বর্ষায় টইটুম্বর রুদ্রসাগর দীঘিতে চরে বেড়াচ্ছে পাতিহাঁস। প্রায় দুই বর্গকিলোমিটার পথ নৌকায় চড়ে পৌঁছুতে হয় নীরমহলের মূল প্রবেশদ্ধারে। প্রাসাদের ভেতরের অংশে সুদৃশ্য বিরাট। বর্ষাকালে রুদ্র সাগরের বিকেলের রুপ। সন্ধ্যার আগে জলের তলে সূর্য হারিয়ে যাওয়ার দৃশ্যও চোখে পড়বে এখানে। নীরমহলে যাবার জন্য রুদ্রসাগর দীঘির বুক চিরে চলছে ইঞ্জিন চালিত নৌকা। এসব নৌকা করেই প্রতিদিন প্রাসাদটি দেখতে যান প্রায় দু'হাজারেরও বেশি পর্যটক। রুদ্রসাগর আর নীরমহলযে শুধু সৌন্দর্য বিলায় তা নয়, দীঘিটিকে কেন্দ্র করেই জীবিকা নির্বাহ করে অনেক মৎসজীবী। বিকেলে দীঘির জলে মাছ শিকার করছে তেমনই একজন। দীঘির জলে জাল ফেলে অপেক্ষা করছে একজন কিশোর। রুদ্রসাগর দীঘির ঘাট থেকে নৌকায় উঠছে পর্যটকরা, উদ্দেশ্য- নীরমহল দর্শন।
বাংলাদেশ সময় ১০৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৭
এএটি