ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

রুদ্র সাগরে শুভ্র নীরমহল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৭
রুদ্র সাগরে শুভ্র নীরমহল শুভ্র মহলটির অপার সৌন্দর্যের চিত্র।

বিশাল জলরাশির রুদ্রসাগর, ঠিক মাঝখানেই নীরমহল। প্রায় পাঁচ দশমিক তিন বর্গকিলোমিটার আয়তনের রুদ্রসাগর দীঘির মাঝে শুভ্র মহলটির আকর্ষণে ভারত বর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন ছুটে আসে হাজারো পর্যটক।

জানা যায়, সাবেক ত্রিপুরা রাজার গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালীন অবকাশ যাপনের জন্য এ মহলটি নির্মাণ করা হয়। ভবনটি একাধারে যেমন রাজার সৌন্দর্যপ্রিয়তার প্রমাণ দেয়, তেমনি হিন্দু ও মোঘল সংস্কৃতি মিশিয়ে দর্শনীয় কিছু করতে চেয়েছিলেন, সেই ধারণারও প্রমাণ পাওয়া যায়।

নীর অর্থাৎ জলের মাঝে মহলটি স্থাপিত বলে এর নামকরণ করা হয় নীরমহল। মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক বাহাদুরের আমলে নীরমহল তৈরি মহলটি ত্রিপুরার মেলাঘরে নীরমহল অবস্থিত। বাংলানিউজের ক্যামরায় ধরা পড়ে শুভ্র মহলটির অপার সৌন্দর্যের চিত্র। শুভ্র মহলটির অপার সৌন্দর্যের চিত্র। বর্ষায় টইটুম্বর রুদ্রসাগর দীঘিতে চরে বেড়াচ্ছে পাতিহাঁস। শুভ্র মহলটির অপার সৌন্দর্যের চিত্র। প্রায় দুই বর্গকিলোমিটার পথ নৌকায় চড়ে পৌঁছুতে হয় নীরমহলের মূল প্রবেশদ্ধারে। শুভ্র মহলটির অপার সৌন্দর্যের চিত্র। প্রাসাদের ভেতরের অংশে সুদৃশ্য বিরাট। শুভ্র মহলটির অপার সৌন্দর্যের চিত্র। বর্ষাকালে রুদ্র সাগরের বিকেলের রুপ। সন্ধ্যার আগে জলের তলে সূর্য হারিয়ে যাওয়ার দৃশ্যও চোখে পড়বে এখানে। শুভ্র মহলটির অপার সৌন্দর্যের চিত্র। নীরমহলে যাবার জন্য রুদ্রসাগর দীঘির বুক চিরে চলছে ইঞ্জিন চালিত নৌকা। এসব নৌকা করেই প্রতিদিন প্রাসাদটি দেখতে যান প্রায় দু'হাজারেরও বেশি পর্যটক। শুভ্র মহলটির অপার সৌন্দর্যের চিত্র। রুদ্রসাগর আর নীরমহলযে শুধু সৌন্দর্য বিলায় তা নয়, দীঘিটিকে কেন্দ্র করেই জীবিকা নির্বাহ করে অনেক মৎসজীবী। বিকেলে দীঘির জলে মাছ শিকার করছে তেমনই একজন। শুভ্র মহলটির অপার সৌন্দর্যের চিত্র। দীঘির জলে জাল ফেলে অপেক্ষা করছে একজন কিশোর। শুভ্র মহলটির অপার সৌন্দর্যের চিত্র। রুদ্রসাগর দীঘির ঘাট থেকে নৌকায় উঠছে পর্যটকরা, উদ্দেশ্য- নীরমহল দর্শন।

বাংলাদেশ সময় ১০৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৭
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।